চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের এস আলম কটেজের কক্ষ থেকে মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অনিক চাকমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবার রাত ১১টার দিকে সর্বশেষ তাকে কটেজে দেখেছেন সহপাঠী ও বন্ধুরা।

অনিকের এক সহপাঠী নরেশ চাকমা জানান, আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে তার পরীক্ষা শুরুর কথা থাকায় সে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্রায় প্রতিদিনই অনিক ভোরে ঘুম থেকে উঠে যেত। কিন্তু আজ দরজায় টোকা মারার পরেও ভেতর থেকে সাড়া মেলেনি। পরে সে এখনও ঘুমিয়ে আছে বলে আমরা চলে আসি। এক ঘণ্টা পর জানালার ফাঁক দিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই আমরা। সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এরপর পুলিশ নিয়ে কটেজ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কক্ষে কয়েক পৃষ্ঠার নোট পাওয়া গেছে। বিষয়টি তার পরিবারকেও জানানো হয়েছে।

দুপুরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা কক্ষের দরজা ভেঙে অনিকের লাশ উদ্ধার করেন। এরপর অনিকের মৃত্যু নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব। তিনি বলেন, শেষরাতে কোনো এক সময় সে আত্মহত্যা করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, দরজা ও জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে লাশ নামানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

অনিক চাকমার বাড়ি রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নে। তার বাবা মোহন লাল চাকমা, মা গোপী দেবী।