×

রাজনীতি

বিএনপি-বাসদের পর ইসলামী আন্দোলনও যাচ্ছে না সংলাপে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম

বিএনপি-বাসদের পর ইসলামী আন্দোলনও যাচ্ছে না সংলাপে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরআগে বিএনপি, বাসদ ও মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের সংলাপে না যাওয়ার কথা জানান।

শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় তিনি নির্বাচন কালীন অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানান।

গত ২০ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়।

এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত ইসি ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে, যেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হয়েছেন। আর ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ১০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে।

রেজাউল করীম বলেন, অতীতের দুটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলোর কোনোটাই মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল তাকে রাষ্টপতি হিসেবে নির্বাচন করেছে, তিনি সেই দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না।

মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরো বলেন, জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না।

রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জন করে দলটি সাত দফা দাবি জানায়। তার মধ্যে রয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং নির্বাচনের সময় অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

ইসি গঠন আইন চলমান সংসদের মাধ্যমে নয়; রাজনৈতিক সংগঠন ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে ইসি গঠনসংক্রান্ত আইন প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

এছাড়া নির্বাচনে কোনো ধরনের অসততা, অদক্ষতা ও পক্ষপাত পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। জনপ্রশাসন, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালীন ইসির হাতে ন্যস্ত করতে হবে। নির্বাচনকালীন সহিংসতার প্রতিটি অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসিকেই নিতে হবে সহ প্রভৃতি দাবি জানানো হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App