জম্মু-কাশ্মিরের কাটরার বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দিল্লি, হরিয়ানা,পাঞ্জাব এবং একজন জম্মু ও কাশ্মিরের বাসিন্দা। উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। বর্ষবরণের সময় রাত পৌনে তিনটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে, ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।

আহতদের স্থানীয় নারায়ণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মন্দিরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ বলেন, বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, রাত পৌনে তিনটার সময় এ ঘটনা ঘটে। দর্শনার্থীদের দুই দলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই পরস্পরের দিকে তেড়ে যান তারা। যার ফলে ঘটে পদদলিত হওয়ার এই ঘটনা।

জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে সাধারণত প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ভিড় হয়। কাটরা থেকে হেঁটে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার যেতে হয় বৈষ্ণোদেবীর দর্শন পাওয়ার জন্য। অনেকেই ওই পথ ঘোড়ার চড়ে যান। পাহাড়ি পথের প্রায় পুরোটাই রাস্তা করা হয়েছে। খাদের দিকে রেলিং এবং জাল দিয়ে ঘেরা। তবে মন্দিরের ভেতরের পথ সংকীর্ণ। সেখানে সাধারণ সময়েই ভিড় থাকে।

কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে, মন্দিরের ভেতরে যেখানে বৈষ্ণোদেবীর মূর্তি রয়েছে, সেই সংকীর্ণ পথেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখানেই ঘটে পদদলিত হওয়ার ওই ঘটনা।

এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করেছেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও।