×

মুক্তচিন্তা

উন্নতির হুকুমদারি সংস্কৃতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:১০ এএম

লক্ষ্যহীন, আদর্শহীন, কর্মবিহীন তরুণরা এখন কী করছে? তারা যে কেবল মাদকাসক্ত নয়, কল্পনীয়-অকল্পনীয় কত রকমের কত সব কাজ অপরাধে লিপ্ত তার খবর জানার উপায় নেই, মাঝে মাঝে যে উন্মোচন ঘটে তাতে চমকে উঠতে হয়। যেমন এবারের দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক হামলা। পূজায় হামলা আগেও হয়েছে; কিন্তু এবার হয়েছে বহু স্থানে, কমপক্ষে ১৬টি জেলায়। এমনটি আগে কখনো ঘটেনি। এমনকি পাকিস্তান আমলেও নয়। দুর্গাপূজা অনেকটা সর্বজনীন উৎসব, হিন্দুদেরই; কিন্তু মুসলমানদের জন্যও যেতে কোনো নিষেধ নেই; তারাও যায়, ঘুরে ঘুরে আয়োজন দেখে। কোথায় মূর্তি কত সুন্দর, আরতি কীভাবে হচ্ছে, বাজনা বাদ্য কেমন বাজছে, প্রসাদ বিতরণ কী ধরনের- এসব কৌতূহল তরুণদের থাকে। কিন্তু এবার দেখা গেল পূজামণ্ডপে হামলা করেছে তরুণরাই। ছাত্ররাও। কেবল যে ছাত্ররা তাই নয়, আক্রমণকারীদের কেউ কেউ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত, যে-ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে থাকে। আবার এটাও লক্ষ্য করার বিষয় বৈকি যে শুধু মণ্ডপ ভাঙচুর করাই হয়নি, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের বসতবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হয়েছে, ঘটেছে অগ্নিসংযোগ এবং লুণ্ঠন। বলা হয়েছিল এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। থাকতেও পারে। তবে থাকলেও সে ষড়যন্ত্রের রহস্য যে উন্মোচিত হবে এমন আশা ভ্রান্ত। বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত রিপোর্ট এখনো যে দাখিল করা হয়নি, ৮৩ বার তারিখ পিছিয়েছে, এবং সময় চলে যাচ্ছে প্রায় ১০ বছর; তাতে রহস্য উন্মোচনের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার কারণ থাকে না, উৎসাহ জাগে না। স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল ডা. শামসুল আলম খান মিলনের প্রাণত্যাগে। ৩০ বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু কই মিলন হত্যার তো বিচার হয়নি। মিলনের মা বলেছেন, ‘আমি বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ যদি বিচার করেন করবেন।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘দেশে রাজনৈতিক হত্যার বিচার খুব সহজে হয় না। […] মানুষ যাদেরকে মিলনের হত্যাকারী মনে করে, তারা তো এদেশের সংসদে বসেছে। সরকারের অংশ হিসেবে যদি তারা কাজ করে, তাহলে কার বিচার কে করবে?’ (প্রথম আলো, ২৭.১১.২০২১) তাই তো, কার বিচার কে করে। একাত্তরে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যে অন্যায়টা বাংলাদেশে করে গেছে, তার তুলনা তো আধুনিক ইতিহাসে বিরল। স্থানীয় অপরাধীদের কয়েকজনের বিচার হয়েছে, কিন্তু মূল অপরাধ করেছে যে পাকিস্তানিরা তাদের বিচার তো হয়নি। তাদের মধ্যে যে ১৯৩ জনকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা গেছে, এমনকি তাদেরকেও তো বিচারের আওতায় আনতে পারিনি আমরা। ন্যায়বিচারের ব্যবস্থাপনার আশাটা তখন থেকেই দুর্বল হয়ে গেছে, তারপরে যে সবল হবে এমন সম্ভাবনা আর দেখা দেয়নি। কুমিল্লা থেকেই এবারের সাম্প্রদায়িক হামলার শুরু। রাতের অন্ধকারে যে যুবক চুপিসারে পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআনের কপি রেখে এসেছিল, শেষ পর্যন্ত সে ধরা পড়েছে। কিন্তু কেন সে এ কাজ করল, সঙ্গে আর কারা ছিল তা জানা গেল না। যুবকটি মানসিকভাবে অসুস্থ, সে নেশাখোর, প্রচারিত এসব তথ্য তদন্তকে সাহায্য করবে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু বড় প্রশ্নটা হলো তরুণরা কেন এই আক্রমণে যুক্ত হতে গেল? তাদের তো বাধা দেয়ার কথা। হামলাকারীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়াটাই তো ছিল তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত। তবে কেন এই বিপথগামিতা? চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মুসলিম ভাইদের ডাক দিয়েছে হৃদয় হোসেন নামে এক তরুণ, ছাত্রলীগের কর্মী সে। তার মা একসময় ছিলেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার নারী ওয়ার্ড কমিশনার। (প্রথম আলো, ২০.১০.২১)। রংপুরে পীরগঞ্জে যে হামলা হয়েছে তাতে নেতৃত্ব দিয়েছে সৈকত মণ্ডল। সে রংপুর কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগের একজন নেতা। (প্রথম আলো, ২৪.১০.২১)। পীরগঞ্জে হামলাটা হয়েছে অত্যন্ত গরিব জেলে পাড়াতে। বাড়িঘর কাগজপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষগুলো আশ্রয়হীন তো বটেই, পরিচয়হীনও হয়ে গেছে। তা ছাত্রলীগের কর্মী মানেই যে আদর্শবাদী পরোপকারী অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হবে এমন কোনো কথা এখন আর নেই, এখন এমন খবর বিস্ময়ের সৃষ্টি করে না যেমনটা সেদিন একটি দৈনিকে পড়লাম, ‘ছিনতাইয়ের সময় হাতে-নাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা।’ (আজকের পত্রিকা, ২৩.০৯.২১)। হাতেনাতে কিন্তু পুলিশ ধরেনি, ধরেছে জনতা। ছিনতাই বুঝলাম, তাই বলে দুর্বল সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলাতে নেতৃত্বদান? কিন্তু দিয়েছে তো! এর কারণ খুঁজতে হবে বিদ্যমান ব্যবস্থার ভেতরেই। এই ব্যবস্থা মানুষকে ক্ষমতা দেয় না; তাই অল্পস্বল্প ছিটেফোঁটা ক্ষমতা যে যখন যেখানে পায় সেটা প্রয়োগ করে প্রবল বেগে। আক্রমণকারী তরুণরা ক্ষমতা চায়; ক্ষমতা পাবে এই আশাতেই সরকারি দলের সঙ্গে তারা যুক্ত হয়; সেটা না পেয়ে ছিনতাইয়ে নামে, সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয়; নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করে ভরসা করে তাদের কোনো শাস্তি হবে না, কারণ তারা সরকার সমর্থক। আর যে জনতা ওইসব হামলায় শামিল হয় তারা তো ক্ষমতাবঞ্চিত অবস্থাতেই থাকে; সে জন্য যখন কোনো উন্মত্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এখন তারা মনে করে এবার ক্ষমতা পেয়েছে এবং ওই ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে। লাগায়ও। ভাবে শত্রæ পাওয়া গেছে। শত্রæ যে তাদের চেয়েও দুর্বল যে মানুষগুলো তারা নয়, শত্রæ যে আর্থ-সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, যা তাদেরকে ক্ষমতাহীন করে রেখেছে। সেই শিক্ষাটা দেয়ার মতো কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন তো সমাজে নেই। সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে আরো বড় একটা কারণ আছে। সেটা হলো রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থা। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও সমাজ গড়বার জন্য। রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রæতি ছিল। কথা ছিল সমাজ হবে ইহজাগতিক, রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। সমাজে ইহজাগতিকতার চর্চা চলবে এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। ধর্ম থাকবে, অবশ্যই থাকবে; কিন্তু ধর্ম হবে যার যার, রাষ্ট্র সবার। যাকে আমরা গণতন্ত্র বলি সেখানে পৌঁছতে হলে প্রথম যে পদক্ষেপটি গ্রহণ আবশ্যক সেটি হলো এই ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু সে পদক্ষেপ আমরা নিতে পারিনি। আমরা পিছিয়ে এসেছি। এখন তো দেখা যাচ্ছে প্রগতিশীলরাও আর ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন না, বড় জোর বলেন অসাম্প্রদায়িকতার কথা, ভেতর থেকে সংকোচ এসে তাদেরকে থামিয়ে দেয়। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আপস করেন। এদিকে ধর্মব্যবসায়ীদের তৎপরতার তো কোনো অবধি নেই। মাদ্রাসা-শিক্ষিত দরিদ্র মানুষদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত করার চেষ্টা ক্রমশ বেগবান হচ্ছে। একটি গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে জঙ্গিদের সংগঠনগুলো উত্তরবঙ্গের চরাঞ্চলে বঞ্চিত মানুষদের দলে টানছে; টানাটা সহজও বটে। ক্ষমতাহীন মানুষ ক্ষমতার সামান্যতম আশাতেও উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। সচ্ছল পরিবারের ছেলেরাও যে জঙ্গি হয় তার পেছনেও ওই ক্ষমতাপ্রাপ্তির প্রত্যাশাটা থাকে। ওদিকে ধর্মকে ব্যবহার করে যারা রাজনৈতিক শক্তি সংগ্রহ করে, আসলে যারা ধর্মবণিকই, তারা ঠিকই প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন দেশের সর্বত্র রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগে সামাজিক মিলনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, কিন্তু সেই চাহিদা উপেক্ষা করে যদি মধ্যপ্রাচ্যের আর্থিক সাহায্যে আদর্শ মসজিদ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি নেয়া হয় তাহলে বুঝতে কি কোনো অসুবিধা থাকে যে, সাংস্কৃতিক হাওয়াটা কোন দিকে বইছে? পীর সাহেবদের কেউ কেউ রাজনীতি করেন। অতীতের মতো এখনো করে থাকেন। যেমন রাজারবাগের পীর। তার মুরিদরা তো আছেনই; তিনি একটি দৈনিক ও একটি মাসিক পত্রিকাও প্রকাশ করে থাকেন বলে ঢাকা শহরের দেয়ালে দেয়ালে লেখা দেখা যায়। মাসব্যাপী তিনি সুন্নি সম্মেলন করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি এক মামলার ফলে বেরিয়ে এসেছে ধর্মীয় আচ্ছাদনে এবং অবৈধ উপায়ে তিনি প্রভূত সম্পত্তি সংগ্রহ করেছেন। এ রকম কাজ অন্য পীরদেরও কেউ কেউ নির্বিঘেœ করে থাকেন বলে ধারণা করাটা মোটেই বেঠিক নয়। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির চর্চার ক্ষেত্রে অগ্রসর ও নির্ভরযোগ্য ভূমিকা পালন করার কথা বামপন্থিদের। কিন্তু আমাদের বামপন্থিরা সুবিধা করতে পারছে না। তার একটা বড় কারণ কিন্তু এই যে, তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য রাষ্ট্রশাসক বুর্জোয়াদের সবাই ঐক্যবদ্ধ। কারণ বুর্জোয়ারা জানে যে, বামপন্থিদের নিজেদের ভেতর যত পার্থক্যই থাকুক সবাই তারা পুঁজিবাদবিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার কাজে অতি নিকটের প্রতিবেশী ভারতও কিন্তু আমাদেরকে সাহায্য করেনি। সাতচল্লিশের দেশভাগের সময়ে কংগ্রেস নেতারা প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন যে তারা তাদের রাষ্ট্রকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র দেবেন। পাকিস্তানের জিন্নাহ সাহেব শুরুতে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন বটে; কিন্তু সেখান থেকে পিছিয়ে আসতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন, কারণ পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভিত্তিটাই ছিল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু শাসক দল কংগ্রেসের শাসন ওই পথে এগোয়নি। ধর্মনিরপেক্ষতার একটি অভূতপূর্ব সংজ্ঞাই বরং তারা দাঁড় করিয়েছিলেন। সেটা হলো সব ধর্মের সমান মর্যাদা, যাকে আর যাই হোক কোনো দিক দিয়েই ধর্মনিরপেক্ষতা বলা যাবে না। জওহরলাল নেহরু ধর্মনিরপেক্ষতা চাইতেন, বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার চরম বিরোধী এবং হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে। প্যাটেলপন্থিদের শক্তি ছিল অধিক। তাদের ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত জয়যুক্ত হয়েছে; নেহরুপন্থিদের হটিয়ে দিয়ে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাষ্ট্রক্ষমতা পেয়ে গেছে। তাদের অঘোষিত অভিপ্রায় ‘বিদেশ থেকে আগত’ মুসলমানদের ফেরত পাঠানো। আর ঘোষিত রূপেই তো ওই পার্টির সভাপতি ও সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এলে অমুসলিমদের তারা নিয়ে নেবেন। অর্থাৎ আমন্ত্রণই জানাচ্ছেন তাদেরকে আসতে। এর বিপরীতে তিনি চাইছেন তথাকথিত ‘অবৈধ মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের’ ফেরত পাঠাতে। গত নির্বাচনের সময়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে তিনি তার নিজস্ব ভাষায় বলে দিয়েছিলেন যে ক্ষমতা পেলে বিজেপি সরকার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদেরকে একজন একজন করে ধরবে এবং বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্য ভালো বিজেপি ক্ষমতা পায়নি। কিন্তু আসামে তো পেয়েছে। এবং সেখানে যারা একই সঙ্গে বাঙালি ও মুসলমান তারা নানা রকমের নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। বিজেপি ত্রিপুরায়ও জিতেছে। এবং সেখানেও মুসলমান অধিবাসীরা অস্বস্তিতে পড়েছে। ভারতের মুসলমানরা বিদেশ থেকে আসেনি; তারা স্থানীয়ই, কিন্তু যেহেতু তারা একে সংখ্যালঘু তদুপরি মুসলমান তাই অবজ্ঞার অবহেলার নীরব শিকার হয়েছে। দেখা গেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে তাদের আনুপাতিক হার অতি সামান্য; পুলিশ বিভাগে উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো নয়; কিন্তু জেলখানায় গেলে দেখা যাবে তারা রয়েছে ঠাসাঠাসি করে। মোটকথা, ভারতের রাজনীতি-প্রবাহ বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য তো করছেই না, উল্টো বৈরিতাই করে চলেছে। ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন, অসম বাণিজ্য এবং সীমান্ত সংঘর্ষের অবসান ঘটেইনি উল্টো বৃদ্ধিই পেয়েছে, তাতেও আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িকতা উৎসাহ পাচ্ছে। তরুণদের দেশপ্রেমিক ও সৃষ্টিশীল করে তোলার জন্য যে সাংস্কৃতিক কাজ দরকার সেটা বাংলাদেশে এখন নেই। উন্নতির হুকুমদারিতে সংস্কৃতি দমিত হচ্ছে। আর তার কুফল সবচেয়ে গভীরভাবে বহন করছে তরুণ সমাজ। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App