দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে সম্মাননা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ। মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেড (ব্রোকার হাউজ) এর মাধ্যমে বিভাগটির সৌন্দর্য্যবর্ধনে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিভাগের সেমিনার কক্ষে একটি অফিস ও দু'টি ক্লাসরুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সাকিব আল হাসানের পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল খায়ের হিরু।

সাকিব আল হাসান ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন ও উদ্যোগে ভূমিকা রাখায় আরো ১৫ ব্যক্তিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মার্কেটিং এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ তালুকদার, আবুল খায়ের হিরু, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পিএন কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার সাহা, তারা স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকুর রহমান মনির, ন্যাশনাল এসেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুমায়ুন বখতিয়ার, ন্যাশনাল এসেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান দেওয়ান নুরুল ইসলাম, বোরাক সি ফুড ট্রেড ইন্টারনেশনালের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহান, ফারডেকোরের সিও ফারজানা আক্তার, সাবেক শিক্ষার্থী বিকাশ চন্দ্র সাহা, মো. আলী ইসরাফিল, মো. আলতাফ হোসাইন, ওবায়দুল্লাহ হিল মোমেন, মনজুরুল হাই।

সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান শেষে বিভাগের একটি অফিস এবং দুইটি ক্লাস রুম উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, মার্কেটিং এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ তালুকদারসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও সম্মাননা প্রাপ্তরা।

মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের শুভানুধ্যায়ীরা সহযোগিতা করছে বলেই আমরা কাজগুলো করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রমে বিভাগের অ্যালামনাই সহ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করার জন্য শিক্ষার্থী ও এ্যালামনাইদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে এসব কালচার বেশিদিনের নয়। সমাজের যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এসব সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসর হবে। সর্বোপরি এ দেশ এবং জাতি অগ্রসর হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই আয়োজনটি ছোট কিন্তু গভীরতা অনেক বেশি। বিভাগের চেয়ারম্যানসহ এই আয়োজনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত এবং যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। আশাকরি ভবিষ্যতে এ ধরণের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।