×

জাতীয়

শুভ বড়দিন আজ: গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩২ এএম

শুভ বড়দিন আজ: গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা উৎসব

প্রতীকী ছবি

ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে কয়েক দিন ধরেই সাজানো হচ্ছিল রাজধানীর গির্জাগুলো। শুধু রাজধানীই নয়, দেশের সব গির্জার ভেতরেই গত কয়েক দিন উৎসবের প্রস্তুতি চলছিল। গির্জায় গির্জায় বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্রিসমাস ট্রি। এত সব আয়োজন ২৫ ডিসেম্বর ঘিরে। এই দিনটি (আজ) খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) নামে পরিচিত।

বেথেলহেম শহরে আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন। তার জন্ম উপলক্ষে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবে দিনটি উদযাপন করে।

গত বছর বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে উৎসব উদ্যাপন হয়েছিল অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে। তবে এবার বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্য কিছুটা বেড়েছে। যদিও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা।

বড়দিন উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এদিকে বড়দিন আজ হলেও উৎসব উদযাপনের শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের পর থেকেই। তেজগাঁও গির্জায় আজ শনিবার প্রার্থনা হবে সকাল ৭ ও ৯টায়। মোহাম্মদপুর গির্জায় আজকের প্রার্থনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৮টা। রমনায় সকাল ৮টা, মিরপুরে সকাল ৯টা, লক্ষীবাজার সকাল সাড়ে ৮টা, নয়ানগর সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ১০টা, ভাটারা সকাল ৯টা এবং মহাখালীতে সকাল ৯টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের বাইরে লোকসমাগম হয়, এমন উৎসব উদযাপনে খ্রিস্টভক্তদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে গির্জার বাইরে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হচ্ছে না। তেজগাঁও পবিত্র জপমালা রানীর গির্জার পালক পুরোহিত ফাদার সুব্রত বনিফাস গোমেজ বলেন, পাপ স্বীকার সংস্কারের মাধ্যমে খ্রিস্টানরা বড়দিনের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি নেয়। আমরা যেসব অন্যায়-অপরাধ করি, সেগুলো যাজকের কাছে গিয়ে স্বীকার করি এবং ঈশ্বরের ক্ষমা লাভ করি।

অন্যদিকে, বড়দিনকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলগুলোও সাজানো হয়েছে। রঙিন আলোকসজ্জায় ‘ক্রিসমাস ট্রি’ সাজানোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে রংবে-রঙের আলোকসজ্জা। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের লবিতে ও ক্যাফে বাজার রেস্তোরাঁয় ক্রিসমাস ট্রি হাউস ও সান্টা ক্লজ বিভিন্ন আলোকসজ্জার মাধ্যমে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সেখানে সান্টা ক্লজ ও তার বন্ধুরা হোটেলে আসা শিশুদের চমকপ্রদ উপহার দিয়ে বরণ করবেন। বড়দিন উপলক্ষে হোটেলের সুইমিং পুলরে পাশে ওয়েসিস গার্ডেনে বাচ্চাদের বিনোদনে ‘কিডস কার্নিভ্যাল’ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন মজাদার গেম, রাইড, জাদুর খেলা ও পাপেট শোর আয়োজন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App