×

জাতীয়

প্রিয়জনের খোঁজে সুগন্ধার পাড়ে স্বজনের ভিড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৯ পিএম

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজদের খুঁজে পেতে স্বজনরা ভিড় করছেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পাড়ে। প্রিয়জনকে জীবিত বা মৃত খুঁজে পেতে অনেক স্বজন ট্রলার ভাড়া করে নদীতে নেমেছেন। এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনের মরদেহ স্বজনের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল ৮টায় ঝালকাঠির মিনি পার্ক এলাকা থেকে ট্রলার নিয়ে নদীতে নামেন বরগুনার নলিমাটিয়া গ্রামের আল-আমিন। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমরাও ট্রলার ভাড়া করে নিখোঁজদের খুঁজতে বের হয়েছি। আমার বোন আর বোনের ছয় বছরের ছেলে নিখোঁজ। তাদের না নিয়ে ঘরে ফিরব না।

নিখোঁজ মেয়ে, মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতিকে খুঁজতে মানিকখালি গ্রামের ফরিদা বেগম ট্রলারে করে সুগন্ধায় নেমেছেন। তিনি বলেন, তারা ঢাকা থেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছিল। আয়োজনও ছিল অনেক বড়। শেষ দেখা আর হলো না। সুগন্ধা নদীর পাড়ে ছাড়াও নিখোঁজদের সন্ধানে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে ভিড় করছেন স্বজনরা।

ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয়ার কথা জানিয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, এদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ ইতোমধ্যে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩২টি মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সকাল ১১টা পর্যন্ত এই মরদেহগুলো বরগুনা সদর হাসপতালের মর্গে রাখা হবে। এর মধ্যে কেউ মরদেহ শনাক্ত করতে পারলে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, প্রতিটি মরদেহের ময়নাতদন্ত করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা রাখা হয়েছে। হাসপতালের মর্গে রাখা ৩২ মরদেহের মধ্যে আরো ছয় সাতটি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে বলে তাকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ রয়েছে তার নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই, তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দু'একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন তবে শনাক্ত করে তাকে পরবর্তী সময়ে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App