নেতায় নেতায় প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। তবে এই প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে নেতাদের হুঁশিয়ারি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের বিজয় দিবসের বিজয় সমাবেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে নগরীর দেওভোগে শেখ রাসেল পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে কোনো ষড়যন্ত্র আইভীর বিজয়কে দমিয়ে রাখতে পারবে না উল্লেখ করে নানক বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নেতায় নেতায় প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু কর্মীরা হলো শেখ হাসিনার কর্মী।

তিনি আরও বলেন, নেতায় নেতায় প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। প্রতিযোগিতা না থাকলে সেটি জড়বস্তুতে পরিণত হয়। সেই কারণেই প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না হয় সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখবেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন দিয়েছেন। সেলিনা হায়াৎ আইভী গতবার ৮৩ হাজার ভোটে জয় পেয়েছিল। ইনশাল্লাহ এবার লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করবে।

সমাবেশে নানক আরও বলেন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসেছি একটি কারণে। মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সেই কারণে এসেছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির বিজয়ের মধ্য দিয়ে আগামী ২০২২ সালে নির্বাচনে জয়লাভের শুভ সূচনা করতে চান।

দলীয় নেতাকর্মীদের ভোটারদের ডোর-টু-ডোর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যেতে হবে, ভোটারদের হাত ধরতে হবে, পাও ধরতে হবে। ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দিতে টানতে হবে।

নারায়ণগঞ্জে দলীয় কোন্দল নিয়ে ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় জানিয়ে নাসিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেখুন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কত ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলছে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সামনে নিয়ে।