×

সারাদেশ

রাজশাহীতে সেই আব্বাসের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৫০ পিএম

রাজশাহীতে সেই আব্বাসের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

রাজশাহীর কাটাখালীর বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস

বরখাস্ত হওয়া রাজাশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত আটটায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কাটাখালি থানায় চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা পৃথক দুটি মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছেন। কাটাখালী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ইসলাম জনি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন আরেকটি মামলা।

আব্দুল কুদ্দুসের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কাটাখালী অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মেয়র আব্বাসের বাসভবনের কাছে একটি মার্কেট নির্মাণকালে আব্বাস তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আব্বাসের সশস্ত্র ক্যাডাররা নির্মাণসামগ্রী ভাঙচুর করেন।

অন্যদিকে যুবলীগ নেতা জনির মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আব্বাসের ভাইরাল হওয়া অডিওতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়েই শুধু কটূক্তি করা হয়নি- রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে উদ্দেশ্য করে অসম্মানজনকভাবে নানান কটূক্তি করা হয়েছে। খায়রুজ্জামান লিটন জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। তার সম্পর্কে কটূক্তি করায় দলের ও লক্ষ্যস্থিত ব্যক্তির সম্মানহানি হয়েছে।

এ বিষয়ে আরএমপির কাটাখালী থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুটি এজাহার পেয়েছি। সেগুলো মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আব্বাস মেয়রকে এ দুটি মামলায় নতুন গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হবে আদালতে।

গত ২৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে আপত্তি তোলেন কাটাখালীর বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলী। এরপর ২৫ নভেম্বর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।

গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল ইশা খাঁ রাজমনি থেকে আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে গত ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকেও আব্বাসকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন আব্বাস।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App