কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিললেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব নাগরিকের সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ঘরবাড়ি ও চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রূপনগর এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে মশা নিধন অভিযান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুক্রবার ও শনিবার বাদ দিয়ে ছয়দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান চলবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন টেনু উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্যই লজ্জা ছেড়ে সর্বস্তরের নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ শীর্ষক শ্লোগানটি প্রয়োগের মাধ্যমে সফল করতে হবে চলমান সামাজিক আন্দোলন।

স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবির প্রেক্ষিতে মেয়র বলেন, রাজউক অনুমোদিত নকশা মোতাবেক নির্ধারিত জায়গাতেই কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক ও খেলার মাঠ করা হবে। এর কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না।

তিনি বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকা নগরীকে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে চিহ্নিত কিউলেক্স মশার ৯২৫টি হটস্পটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই ডিএনসিসি বহিৰ্ভূত রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের আওতাভূক্ত হওয়ায় সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা ব্যক্তিগত সবাইকেই মশা নিধনে এগিয়ে আসতে হবে।