বলিউডে ক্রমেই আলোচনা বাড়ছে ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। বলিউড নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে স্রেফ পরিচয়ের জন্যই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছিল ওই প্রতারক ব্যবসায়ী, এমনটাই অভিযোগ। গুঞ্জন রয়েছে, সুকেশ বলিউডের আরো ১২ অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল। তাদের একজন কি নোরা ফাতেহি। এখন এটাই উঠছে প্রশ্ন। এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যাকুলিনের মতোই ডাক পাঠানো হয়েছিল নোরাকে।

জানা গেছে, বিলাসবহুল গাড়ি থেকে হীরের দামি গহনা কিংবা ব্যাগ উপহার দেয়া হয়েছে ‘গরমি গার্ল’কে। তাহলে কি চন্দ্রশেখর ঘনিষ্ঠ ছিল নোরার? অভিনেত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, এই মামলায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি গত বছরের ডিসেম্বরের আগে চিনতেনও না চন্দ্রশেখরকে। উল্লেখ্য, উপহার পাওয়ার বিষয়টি এখন স্বীকার করলেও প্রথমে কিন্তু জ্যাকুলিনের মতোই তথ্যটি চেপে ছিলেন।

জানা গেছে, একটি ইভেন্টে অংশ নেয়ার জন্য অভিনেত্রীকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়েছিল চন্দ্রশেখর। তার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিয়েছিল চন্দ্রশেখরের স্ত্রী লীনা মারিয়া পাল। চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে যে ২০০ কোটি টাকার তছরুপের মামলা রুজু হয়েছে সেখানে অন্যতম অভিযুক্ত তার স্ত্রীও। নোরা জানিয়েছেন, ইভেন্টের আগে লীনা ও আরো কয়েকজন সবার সামনে উপহারের কথা ঘোষণা করেন। ওই সময় সেখানে ছিলেন নোরার অন ফ্লোর ম্যানেজার, মেকআপ আর্টিস্ট ও স্পট বয়রা।

নোরা জানিয়েছেন, তিনি এমন উপহার পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তার এমনও মনে হয়েছিল, হয়তো গাড়িটি তাকে লোক দেখানো উপহার দেয়া হচ্ছে। সত্যি সত্যি উপহার দেয়া হবে না। আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিনা। সবাই তাকে আশ^স্ত করেন এটা হয়েই থাকে। গাড়ি ছাড়া আর কোনো উপহার তিনি নিয়েছিলেন কিনা এ প্রসঙ্গে নোরার দাবি, ওই ঘটনার আগে কিংবা পরে তিনি কোনো উপহার নেননি।

দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছিলেন, গুচির কোনো ব্যাগ তিনি চন্দ্রশেখরের থেকে উপহার পেয়েছিলেন কিনা। যার উত্তরে অভিনেত্রীর পরিষ্কার জবাব, না! একেবারেই না! তবে ওই সময় প্যালাডিয়াম মল থেকে যে তিনি তার আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য উপহার কিনেছিলেন তা মেনে নিয়েছেন নোরা। তবে তার সাফ কথা, সেগুলোর কোনোটাই চন্দ্রশেখরের দেয়া নয়। এদিকে এমন গুঞ্জনও রয়েছে, একটি চ্যাটের অংশ নাকি মিলেছে যেখানে দেখা গেছে, গাড়িটি দেয়ার আগে সেটি তার পছন্দ কিনা তাও নাকি জানতে চেয়েছিল ঠগবাজ চন্দ্রশেখর।