×

প্রবাস

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০২ এএম

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ

প্রতীকি ছবি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারো আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’ প্রতিপাদ্যে দিবসের মূল ও জাতীয় অনুষ্ঠান আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখছেন। তারা যাতে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশে যেতে পারেন, সেজন্য সরকার দেশে ৬৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও ছয়টি আইএমটি স্থাপন করেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষকর্মী তৈরির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বিদেশে গমনেচ্ছু যুবসমাজকে এসব সুযোগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। আর এজন্য প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, সরকার অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন, গুণগত মানসম্পন্ন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অভিবাসীকর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বহুমুখী কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে পাঁচটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনটিনিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এর ফলে অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য প্রবাসে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থায় ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের আওতায় এনে টিকা দেয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের মূলকথা ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৪ ডিসেম্বর ২০০০ সালে দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক হারে অভিবাসন ও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ঘিরেই এ দিবসের উৎপত্তি। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App