×

জাতীয়

মিরপুরের ‘ডন’ হতে চেয়ে লাখ টাকার চুক্তিতে খুন!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:২৩ পিএম

মিরপুরের ‘ডন’ হতে চেয়ে লাখ টাকার চুক্তিতে খুন!

প্রতীকি ছবি

রাজধানীর মিরপুরের ‘ডন’ হতে চেয়েছিলেন মো. হৃদয় নামে এক কিশোর। সে জন্য জড়িয়ে পড়েন ‘কন্ট্রাক্ট কিলিং’ বা চুক্তিভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধে। সর্বশেষ দুই লাখ টাকার চুক্তিতে গত রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে শাহাদাত হোসেন হাসিব নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন হৃদয় ও তার সহযোগীরা।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ।

এর আগে শাহাদাত হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বরিশালের ঝালকাঠি থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হৃদয়ের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ওই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার সহযোগীসহ চার জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শাহ আলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসে পুলিশ। ব্রিফিং করেন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এ জেড এম তৈমুর রহমান।

তিনি বলেন, ১৭ বছর বয়সী কিশোর শাহাদাতকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহ আলী এলাকা ও ঝালকাঠি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, হৃদয়ের বয়স ১৮। সে ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি চার জনের মধ্যে একজন ১৬ বছর বয়সী কিশোর। বাকি তিন জন প্রাপ্তবয়স্ক। এরা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল (৩০), হুমায়ুন কবির (৬৫) ও মো. আল-আমিন আহমদ (১৮)।

উপ-কমিশনার তৈমুর বলেন, ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়- মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহাদাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। এ হত্যায় মোট পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিন জন। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ জনের মধ্যে হৃদয়সহ দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে শাহাদাতকে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তৈমুর বলেন, শাহাদাতের বাবার সঙ্গে বিপুল নামে এক প্রবাসীর বাবার নোয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত মামলা আছে। এ মামলার জের ধরে শাহাদাতকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার এই দায়িত্ব দেওয়া হয় মোফাজ্জলকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহাদাতকে হত্যার জন্য হৃদয়ের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি করা হয়।

শাহাদাতকে হত্যার পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে হৃদয়কে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মোবাইল নম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করে হৃদয়ের নম্বর পাওয়া যায়। ঘটনার পর হৃদয় ঢাকা থেকে চাঁদপুরে পালিয়ে যান। সেখান থেকে যান ভোলা। পরবর্তীতে ভোলা থেকেও সরে চলে যান ঝালকাঠি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ ঘটনায় বিদেশে থাকা বিপুলের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App