×

জাতীয়

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০৭ পিএম

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি ও নিরাপত্তায় জোর দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল মানুষ সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং তারা পালন করছে। সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। সেটা আমরা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। কভিড-১৯ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আমাদের অর্থনীতির চাকাকে আমরা সচল রেখেছি। আমরা গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বন্ধুপ্রতীম দেশ, সংস্থা এবং ব্যক্তির প্রতি যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে খাদ্য দিয়ে, অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে, মানবিক সাহায্য দিয়ে এবং নৈতিক সমর্থন দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

এর আগে, সেখান থেকেই জাতিকে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আলোচনা পর্বে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মাননীয় অতিথির হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সম্মাননীয় অতিথির হাতে তুলে দেন ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা স্মারক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App