এই প্রথম একদিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখল যুক্তরাজ্য। দেশটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৬১০ জনের শরীরে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশঙ্কা আগামী কয়েকদিনে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর তা যুক্তরাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এ যাবৎ দেশটিতে ১০ হাজার জনের বেশি মানুষের শরীরে ধরনটির উপস্থিতি মিলেছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন একজন।

এর মধ্যেই দেশেটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনার এই নতুন ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে সংক্রমণ মোকাবিলায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারির পক্ষে নন যুক্তরাজ্যের ১০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে তারা বিধিনিষেধের বিপক্ষে অবস্থান নেন।

এদিকে দেশটির হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান নির্বাহী জেনি হ্যরিস মনে করছেন মহামারি শুরুর পর থেকে ওমিক্রন যুক্তরাজ্যের জন্য ‘সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হুমকি’ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তিনি বলেন, করোনার আগের ধরনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে আগামী কয়েকদিনে সংক্রমণের হার হতবাক করে দেওয়ার মতো হতে পারে বলে প্রাপ্ত হিসাবনিকাশগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।