শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা (ভিডিও)
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৪১ এএম
মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের সামরিক সচিবরা। ছবি: ভোরের কাগজ
মঙ্গলবার সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা। ছবি : ভোরের কাগজ
মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুলে দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এক তরুণী। ছবি: ভোরের কাগজ
যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে স্মৃতির মিনার।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাতটায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মিরপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সামরিক সচিবরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
[caption id="attachment_323840" align="aligncenter" width="700"] মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা। ছবি : ভোরের কাগজ[/caption]এছাড়া, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করে রেখেছে। সকাল আটটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় তারা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল সাতটা ২২ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল আটটা ৩০ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
১৯৭১ সালে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানিরা বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানকে হত্যা করে। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীরা মূলত আলবদর বাহিনীর সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষেরা মনে করেন, পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পেরেছে তাদের পরাজয় আসন্ন, ঠিক তখনই তারা এদেশের বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যায় এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে হত্যা করে।
২০১৬ সালের ১১ মে মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী গুপ্তঘাতক, আলবদর বাহিনীর প্রধান ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যায় সরাসরি জড়িত চৌধুরী মাঈনুউদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান পলাতক থাকায় তাদের বিচার এখনও কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। চৌধুরী মাঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্য এবং আশরাফুজ্জামান খান যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছে। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
https://www.youtube.com/watch?v=x6PSrxc9Ldc