×

জাতীয়

টেকসই উন্নয়নে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতের আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:০৬ পিএম

টেকসই উন্নয়নে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতের আহ্বান

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে টেকসই উন্নয়নে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও জেন্ডার সমতা বিষয়ক একটি অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

টেকসই উন্নয়নে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ফোরামের উদ্যোগে টেকসই উন্নয়নে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও জেন্ডার সমতা বিষয়ক একটি অনলাইন আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান বক্তারা।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়াম্যান নাছিমা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজের শিক্ষক ড. সোমা দে, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি শাহীন আক্তার ডলি, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রটেকশন-স্পেশালিস্ট শাবনাজ জাহেরীন, ইউএনডিপির জেন্ডার এক্সপার্ট বিথিকা হাসান, এটিএন বাংলার সিনিয়র ভিডিও এডিটর রোকসানা বানু এবং নাগরিক উদ্যোগের নাদিরা পারভিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।

নাছিমা বেগম বলেন, মানবাধিকার অর্থ শুধু গুম, খুন এসব থেকে রক্ষার অধিকারই নয়, বাসস্থানের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, নারী ও শিশুদের অধিকারও মানবাধিকার। আমরা ভেবেছিলাম করোনাকালে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন কমবে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নির্যাতন আরও বেড়েছে। মানবাধিকার কমিশন এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না, তাই আমি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে হলে কন্যাশিশুদের শিক্ষা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতি দেখতে পাই, কিন্তু পুরুষদের সঙ্গে যদি তুলনা করি তাহলে নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। তিনি জানান, ২০২১ সালে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৩৫ জন কর্মজীবী নারীদের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে ১৩৫ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ সময়কালে কন্যাশিশুদের প্রতি নির্যাতনের গবেষণার চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখতে পাই, এই সময়কালে ৮৩১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৫৩ জন আত্মহত্যা করেছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য আত্মমর্যাদাশীল জীবন তৈরি করতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। কন্যাশিশুদের অধিকার হরণের একটি বড় ক্ষেত্র হচ্ছে বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের ফলে শুধু কন্যাশিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

সোহরাব হাসান বলেন, গত ৫০ বছরে আমাদের অনেক অর্জন যেমন আছে ব্যর্থতাও কম নয়। নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যাপকতা পেয়েছে।

অন্যান্য বক্তারা কন্যাশিশুদের ওপর নির্যাতন, বাল্য বিবাহ বন্ধ ও নারী পুরুষের বৈষম্য বন্ধের আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App