×

প্রবাস

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে দু'দেশের সহবস্থান থাকবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৪৩ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে দু'দেশের সহবস্থান থাকবে

আবুধাবীতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর ও ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ কুটনৈতিকরা। ছবি : ভোরের কাগজ

আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে যে ভূমিকা পালন করে বন্ধু দেশের পরিচয় দিয়েছে তা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশ গুলোর মধ্যে একটি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্কের মাধ্যমে এভাবে এগিয়ে গেলে দুই দেশের সঙ্গে এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় থাকবে। গত সোমবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যৌথভাবে আয়োজিত মৈত্রী দিবস এর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মো. আবু জাফর এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত জনাব সঞ্জয় সুধীর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও বন্ধু প্রতিম ভারতের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহমর্মিতা এবং সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে ভারতের ১৮০০০ শহীদের রক্ত যা আমাদের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে এবং দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থাপন করেছে দুই দেশের সম্পর্কের। তিনি উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন ভারতীয় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আশুগঞ্জে একটি যুদ্ধ স্মারক নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ২০২১ সাল উভয় দেশের বন্ধুত্বের একটি মাইলফলক বছর হয়ে থাকবে কেননা বাংলাদেশ যেমন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে তেমনি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তে মৈত্রী দিবস উদযাপন করছে। ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিক্রমায় উভয় দেশ নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, ব্যবসা, জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থার সংযোগ, প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষাসহ প্রভূত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

ভারতের রাষ্ট্রদূত সুঞ্জয় সুধির তার বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান চমৎকার পরিসরে মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। তিনি বলেন, দুই দেশের মৈত্রীর সূচনা হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে অভিন্ন আত্মত্যাগ স্বীকার করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সোনালী অধ্যায় পার করছে এবং বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় ভারত অবদান রাখতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত।

অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রবাসী কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দুবাই বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, সিআইপি এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাহাতাবুর রহমান নাসির সিআইপি, লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ ইউছুপ আলী, বাংলাদেশ ও ভারত সহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার উপর লেখা সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App