আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত জার্মানির আগামী জোট সরকার। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ওলাফ শোলজ। তিন দলই মন্ত্রীসভার সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করে ফেলেছে। ফলে বুধবার তারাও শপথবাক্য পাঠ করে যে যার মন্ত্রণালয়ের হাল ধরতে পারবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এসপিডি দলের কার্ল লাউটারবাখের মনোনয়ন সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে৷ করোনা সংকটের সময় বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি দল, মত নির্বিশেষে জনসাধারণের একটা বড় অংশের আস্থা অর্জন করার পর তার নামই এই পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছিল।

নতুন সরকারি জোটের ঘোষিত অভিন্ন কর্মসূচির উপর কোন শরিক দল শেষ পর্যন্ত কতটা প্রভাব রাখতে পারলো, সে বিষয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই৷ এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী সবচেয়ে ছোট শরিক হওয়া সত্ত্বেও এফডিপি দলই নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় সবচেয়ে সফল হয়েছে৷ অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে সবুজ দলকে সবচেয়ে বেশি আপোশ মেনে নিতে হয়েছে বলে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন৷ তবে জোটের দলগুলি সেই হিসেবনিকেশ উড়িয়ে দিয়ে ‘আরও অগ্রগতির সাহস' শিরোনামে কোয়ালিশন চুক্তির সাফল্যের উপর জোর দিচ্ছে৷

জার্মানির নতুন সরকার সত্যি বেশ কিছু ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ ন্যূনতম মজুরি আট ইউরো ষাট সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১২ ইউরো করা হচ্ছে। দীর্ঘকাল বেকার থাকা মানুষের জন্য আরও উদার ভাতার ব্যবস্থা করা হবে৷ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের শিশুদের কল্যাণে আরও আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। জার্মানির বাসস্থান সংকট মোকাবিলা করতে বছরে কমপক্ষে চার লাখ করে নতুন বাসস্থান নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছে।

এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি থেকে আসবে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে গণপরিবহণ ব্যবস্থার আরও উন্নতি করতে চায় ওলাফ শলৎসের সরকার। তবে সরকারি ঋণের ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন না করেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচিগুলির জন্য বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করতে হবে৷