×

মুক্তচিন্তা

শিক্ষায় গতি ফেরার আগেই ওমিক্রনের আতঙ্ক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:১০ এএম

শিক্ষায় গতি ফেরার আগেই ওমিক্রনের আতঙ্ক

২০২০ সালের মার্চ থেকে বৈশ্বিক অতিমারি করোনা সংক্রমণের কারণে সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও শিক্ষাব্যবস্থার ওপর দিয়ে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে গেছে। আমাদের দেশে মাত্র কিছুদিন আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জট লেগে থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই দুটি পাবলিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার দিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। এরই মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এবং অল্প বিষয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুরূপভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হতে ডিসেম্বর প্রায় শেষ হয়ে যাবে। স্কুলগুলোতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশিত রুটিন অনুযায়ী খুবই সীমিত আকারে শ্রেণিপাঠ দেয়া হচ্ছে। বার্ষিক পরীক্ষার আওতায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে স্কুলগুলোতে পরীক্ষা চলছে। কোথাও কোথাও এরই মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে আবার স্কুলেভেদে শহরাঞ্চলে অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি কিছু পরীক্ষা নিচ্ছে। এর সপক্ষে প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তি হচ্ছে যে তারা সারা বছরেই অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করিয়েছে। সুতরাং তাদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার আগ্রহ থাকায় বার্ষিক পরীক্ষাটি তারা বাড়তি বিষয় নিয়ে সম্পন্ন করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া অভিভাবকদেরও আগ্রহ রয়েছে। যে উদ্দেশ্যেই করা হোক না কেন এসব অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহর এবং গ্রামাঞ্চলের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের চেয়ে যে আলাদা সেটি তাদের বছরব্যাপী অনলাইনে শিক্ষাক্রম চালিয়ে নেয়া এবং বার্ষিক পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গভাবে নেয়ার মধ্য দিয়েই তারা প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই করোনা অতিমারির এই দীর্ঘসময়ে শিক্ষার কার্যক্রম প্রায় বন্ধই রেখেছিল। যদিও করোনার সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে ২০২০ সালে ততটা হানা দেয়নি, এমনকি ২০২১ সালের ডেল্টা ভাইরাসের আগ পর্যন্ত গ্রামগুলো অনেকটাই সংক্রমণমুক্ত ছিল, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রামীণ অবস্থা বিবেচনায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যথসম্ভব সচল রাখতে পারত। কিন্তু করোনার আতঙ্ক বেশিই হোক আর সামগ্রিক বিষয়টিকে বিবেচনায় না নেয়ার কারণেই হোক গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলতে গেলে তালাবদ্ধই ছিল। অনলাইন পাঠদানের সুযোগ অনেকগুলোর ছিলই না, আবার যাদের ছিল তারা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার কোনো উদ্যোগ নেয়ওনি। না নেয়ার পেছনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তি ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি দায়িত্ব পালন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভবও করেনি। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এসব বিষয়ে তাদের কোনো সুপারিশ প্রেরণের জন্য যোগাযোগ করেছে বলে আমরা জানি না। দেশে করোনার সংক্রমণ দেখিয়ে করোনামুক্ত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও হাত গুটিয়ে বসে ছিল। এক্ষেত্রে সরকারি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ কোনো দায় অনুভব করেনি। কারণ মাস শেষে তাদের বেতন পাওয়া বন্ধ ছিল না। তবে এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে শিক্ষায় যেই বিপর্যয়টি ঘটে গেছে সেটি বোধহয় আমাদের নীতিনির্ধারকরা তখন তলিয়ে দেখতে পারেননি। এখন বাস্তবেই গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়াটি স্পষ্ট লক্ষ করা যাচ্ছে। করোনামুক্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর উদ্যোগে চালু করা হয়েছে। আমাদের দেশে যে ধরন ও ধারারই হোক না কেন নামধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য কেউ সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। এটি কয়েক যুগ আগ থেকেই চলে এসেছে। এখনো তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকে অনুভবই করে না। গ্রামাঞ্চলে কে কার খোঁজ রাখে? তাছাড়া প্রভাব বিস্তারেরও নানা বিষয় রয়েছে। অভিভাবকরাও এতসব বিষয় জানেন না, আমলেও নেন না। শিক্ষার বিষয়টি যেভাবে গ্রামাঞ্চলে চলছে সেটির সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক কতটা জড়িত তা নিয়ে মৌলিক প্রশ্ন করা গেলেও উত্তর পাওয়া যাবে না। গত দুই বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে সবচেয়ে বেশি গ্রামীণ শিশুরাই শিক্ষার মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়টি অনেক অভিভাবকের কাছে এক ধরনের সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে। তারা তাদের শিশুদের বাড়িতে যেহেতু নিয়মিত পাঠদান করাতে পারছিল না। আবার ধরেও রাখতে পারছিল না। তাই তাদের কোথাও না কোথাও পাঠাতে পারলেই যেন বাঁচে। এই সুযোগটিই নিয়েছে অনেকেই। রাতারাতি কোচিং সেন্টার নামে কিছু বাড়ি ভাড়া নিয়ে কেউ কেউ বসে গেছেন। এছাড়া হেফজু খানা, বিভিন্ন নামের ধর্মীয় মাদ্রাসার সাইনবোর্ড টানিয়ে অনেকেই ছাত্র-শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছেন। এসব শিক্ষার্থীর বড় অংশই বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এমনকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ওইসব মাদ্রাসা এবং কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। তারা এক-দেড় বছর ধরে সেখানেই আছে। তাদের অনেকেই এখন আর সেখান থেকে ফিরে আসতে পারছে না। এর ফলে মূলধারার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন অনেক ক্ষেত্রেই নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর ঘাটতি শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মূলধারার প্রতিষ্ঠানে নেই। তাদের অবস্থান ওইসব গজিয়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তারা পড়ছে সেখানে, উপবৃত্তির নাম বহাল রয়েছে আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়টি নজরে নেয়ার দরকার ছিল। গ্রামাঞ্চলে এমনিতেই এক-দেড় দশকে অসংখ্য ক্যাডেট নামধারী কোচিং, মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে। সেগুলোতে শিক্ষার্থী সংগ্রহের নানাভাবে শিক্ষকরা তৎপরতা চালিয়ে থাকেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রশিক্ষণের কোনো বালাই নেই। স্থানীয় বেকার, মাদ্রাসা শিক্ষিত কিংবা কলেজপড়ুয়ারা এসব কোচিং সেন্টার, নামধারী ক্যাডেট স্কুল ও মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। গ্রামের অভিভাবকদের একটি অংশ কোচিং সেন্টার, নামধারী ক্যাডেট স্কুল ও মাদ্রাসায় সন্তানদের পড়াতে আগ্রহী। তারা নিজ নিজ বিবেচনা ও বিশ্বাস থেকে এসব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা কিংবা উন্নততর মনে করছে। অনুমোদনহীন ওইসব প্রতিষ্ঠানে শহরের মতো অনুমোদনহীন বিভিন্ন বইপুস্তক পড়ানো হচ্ছে, পোশাক-আশাকের ভিন্নতা দেয়া হচ্ছে, বাড়তি বেতনও নেয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের অনেকেই এতে শহরের ক্যাডেট কিংবা কেজি স্কুলের ‘মর্যাদা’ খুঁজে পাচ্ছে। আবার নানা ধরনের ধর্মীয় মাদ্রাসায় ছেলেমেয়েদের পড়ানোর প্রচার-প্রচারণাও বেশ প্রসারিত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ধারণাটি যেখানে নেই, সেখানে এ ধরনের এলোমেলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, ভরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আলিয়া মাদ্রাসাগুলোর অবস্থাও বেশ ওঠানামা করছে। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই লেখাপড়ার মান ধরে রাখতে পারছে না। পরিচালনা পরিষদ নিয়ে আছে নানা সংকট, স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রভাব। শিক্ষকদের মধ্যেও রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা, প্রাইভেট পড়ানোর প্রতিযোগিতা, বাধ্যবাধকতা। আবার শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে বড় ধরনের প্রশ্ন। সে কারণেই দেখা যাচ্ছে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দু-চার বছর সুনাম কুড়াতে পারলেও শিক্ষক বদলি অথবা পরিচালনা পরিষদের অযোগ্যতা, শিক্ষকদের অমনোযোগিতা ইত্যাদি কারণে দ্রুতই মানের সংকটে লেখাপড়ার পরিবেশ হারিয়ে ফেলে। এমনিতেই অভিভাবকদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল, লেখাপড়া সম্পর্কে ধারণা রাখেন, সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষাদানে আগ্রহী, তাদের বড় অংশই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সন্তানদের নিকটবর্তী উপজেলা কিংবা শহরে নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন। গ্রামাঞ্চলে এখন বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অপেক্ষাকৃত অসচেতন এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েদেরই লেখাপড়া করতে হয়। কিন্তু সেখানেও লেখাপড়ার পরিবেশ সব জায়গায় কাক্সিক্ষত মানের নেই। কিছু কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ ধরনের পরিবেশের ভেতর দিয়েও ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ ভালো করছেনও। কিন্তু সেটিও শতকরা হার খুবই কম। আবার যারা রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ক্যাডেট কোচিং অথবা ক্যাডেট মাদ্রাসায় পড়তে যাচ্ছে তাদের সাফল্যের কীর্তিও ততটা চোখে পড়ছে না। বলা চলে গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও, শিক্ষা সচেতনতার অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। ব্যাপকসংখ্যক শিশু-কিশোর মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবে তাদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে না। ছেলে শিক্ষার্থীদের বড় অংশই প্রতিযোগিতায় টিকে ওঠার মতো শিক্ষা পাচ্ছে না। গ্রামীণ পরিবেশ ক্রমেই শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ গড়ার চেয়ে ভিন্ন দিকে মনোযোগী হয়ে পড়েছে। করোনার দুই বছর তাদের আরো বেশি দূরে সরিয়ে দিয়েছে। ছাত্রীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হয়েছে। বাল্যবিয়ে, পারিবারিক নানা সমস্যা, এরই মধ্যে বেড়ে যাওয়ায় মেয়েদের শিক্ষার ঊর্ধ্বমুখিনতা অনেকটাই থমকে পড়েছে। নতুন করে ওমিক্রন ভাইরাসের যে আতঙ্ক দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তার প্রভাব এখনো আমাদের দেশে না পড়লেও শেষ পর্যন্ত এর অভিঘাত থেকে আমরা কতটা মুক্ত থাকতে পারব সেটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না। যদি ডেল্টা ভাইরাসের মতো ওমিক্রনও হানা দেয় তাহলে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর যাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়তে পারে তার জন্য এখনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা চাই না, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নতুন করে আর কোনো সংকটে পড়–ক। করোনায় গত দুই বছর যে অতিক্ষতি শিক্ষায় ঘটে গেছে সেটি পুষিয়ে নেয়া বোধহয় সহসা সম্ভব হবে না। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থায় আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়া মোটেও সহজ হবে না। সরে যাওয়া এসব শিক্ষার্থীকে মূল ধারার শিক্ষার সঙ্গে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা জানি না, তবে যা ঘটে গেছে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া করোনার চেয়ে মোটেও কম হবে না। সরকারকে বিষয়গুলোর গভীরভাবে তলিয়ে দেখা এবং করণীয় উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতেই হবে। কারণ আমাদের বিশাল এই নতুন প্রজন্ম নিকট ভবিষ্যতে জ্ঞান দক্ষতা, কর্ম দক্ষতা, চিন্তা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতায় যদি সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে তাহলে বেকারত্ব, দুর্বৃত্তায়ন, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতাসহ নানা ধরনের সংকট বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App