×

জাতীয়

মা-বোনদের মনে কষ্ট দিলে ক্ষমা করে দিবেন: ডা. মুরাদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৫১ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এরপর দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।

ডা. মুরাদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন।’

এর আগে পদত‍্যাগপত্র তথ‍্য মন্ত্রণালয় থেকে লিখে পাঠানো হয়। তিনি সেই পদত্যাগ পত্রে সই দিয়ে ইমেইল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান ডা. মুরাদ হাসান। তারপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যসংবলিত একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করতে শোনা যায়। তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

এরই মধ্যে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ওই চিত্রনায়িকার উদ্দেশ্যে ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলতে শোনা গেছে। এই কথোপকথন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছিল।

[caption id="attachment_322668" align="aligncenter" width="511"] মুরাদ হাসানের ফেসবুক স্টেটাস[/caption]

এদিকে, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বক্তব্যের জন্য মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছিল। দুপুরে এক কর্মসূচিতে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী, তা জানতে চেয়েছিলেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রের ডিগ্রিধারী মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে প্রথমবার সংসদে যান। এরপর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার জয়ী হন তিনি। এই দফায় সরকারে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি বিষয় নিয়ে চিকিৎসকদের আপত্তির মুখে সরকার গঠনের পাঁচ মাসের মাথায় ২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া জীবনবৃত্তান্ত অনুযায়ী, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ২০০০ সালে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি হন মুরাদ হাসান। তিন বছর পর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। মুরাদ হাসান ২০১৫ সালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ‘স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক’ নির্বাচিত হন। তার বাবা মতিয়র রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App