অর্থপাচারকারী ১৪ প্রতিষ্ঠান ও ২৯ ব্যক্তির নামের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তালিকায় রয়েছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নাম। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এ তালিকা হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়।

পানামা পেপার্সের বরাত দিয়ে দুদকের এ প্রতিবেদনে ১৪ জন পাচারকারীর নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, সেতু করপোরেশনের পরিচালক উম্মে রুবানা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিডব্লিউএন এর আজমত মইন। সালমা হক, জোবায়দুল হক, ড. সৈয়দ সিরাজুল হক ও দিলীপ কুমার মোদি। এর বাইরে রয়েছে আব্দুল আউয়াল মিন্টু, তার পরিবারের ৫ সদস্যসহ ২৯ জনের নাম।

আগামীকাল রবিবার এ প্রতিবেদনের উপর হাইকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ২২ নভেম্বর দুদকের কাছে হাইকোর্ট অর্থপাচারকারীদের তালিকা তলব করেন।

তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- মাল্টিমোড লি. এর চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ছেলে তাবিথ আউয়াল, তাফসির আউয়াল ও তাজওয়ার মো. আউয়াল। তাইরন পিআই, জ্যামাইকা নিউইয়র্কের মোগল ফরিদা ওয়াই, শহিদ উল্লাহ, বনানীর চৌধুরী ফয়সাল, ব্রামার এন্ড পার্টনার্স এসেট ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ লি. এর আহমাদ সামির, ডাইনামিক এনার্জির ফজলে এলাহী, ইন্ট্রিপিড গ্রুপের কেএইচ আসাদুল ইসলাম, খালেদা শিপিং কোম্পানীর জুলফিকার আহমেদ, জেমকিা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজুল ইসলাম তাজুল, বেংগল শিপিং লাইনসের মোহাম্মদ মালেক, সাউদার্ন আইস শিপিং কোম্পানীর শাহনাজ হুদা রাজ্জাক, ওসান আইস শিপিং কোম্পানীর ইমরান রহমান, শামস শিপিং লি: এর মোহাম্মদ এ আউয়াল, ডব্লিউএমজি লি. এর এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ইন্ট্রিডিপ গ্রুপের ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজুল ইসলাম, পদ্মা টেক্সটাইলের আমানুল্লাহ চাগলা, নিউটেকনোলজি ইনভেস্টমেন্টের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, মোহাম্মদ রেজাউল হক (মাল্টা), জেমিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ কামাল ভূইয়া, তুহিন-সুমন, সেলকন শিপিং কোম্পানীর মাহতাবা রহমান, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ফারুক পালওয়ান ও গ্লোবাল এডুকেশন সিস্টেমের (আয়ারল্যান্ড) মাহমুদ হোসাইন।