করোনার টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জার্মানি। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দেশটির সরকার এই লকডাউন ঘোষণা করে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে জার্মানিতে বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন দেশটির শীর্ষ নেতারা। এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং তার উত্তরসূরি ওলাফ শলৎস। খবর সিএনএনের।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের সুপারমার্কেট এবং ফার্মেসির মতো অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসা ছাড়া অন্য সব স্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত নতুন সংকট নিয়ে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরে তারা এই কথা বলেন। এসময় আরও বলা হয়, যারা সম্প্রতি ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছে তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়।

এই দুই নেতা বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার প্রস্তাবকেও সমর্থন করেছিলেন। সংসদের মাধ্যমে ভোট দিলে এই প্রস্তাব আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হতে পারে বলে জানা গেছে।

কঠোর বিধিনিষেধের অধীনে, টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা কেবলমাত্র অন্য পরিবারের দু জনের সঙ্গে দেখা করতে পারবে। এছাড়া যেসব এলাকায় সপ্তাহে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩৫০ জনের বেশি মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, সেসব এলাকার বার এবং নাইটক্লাবগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া দেশটি ফুটবল ম্যাচের মতো বড় ইভেন্টে লোকের সংখ্যাও সীমিত করবে বলে জানা গেছে।

আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ওলাফ শলৎস এমন সময় এই সংবাদ সম্মেলন করলেন যখন জার্মানিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এছাড়া নতুন আবিষ্কৃত করোনার ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ারও ঝুঁকি রয়েছে দেশটিতে।

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার আগে আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক হতে পারে। জার্মানির এথিক্স কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুসরণ করার পর সংসদের একটি বিতর্ক শেষে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে বলেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেছেন, যারা টিকা নিয়েছেন তারা নয় মাস পরেই তাদের টিকার কার্যকারিতা হারাবেন। মূলত টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়া উত্সাহিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জার্মান সরকার।