×

আন্তর্জাতিক

ওমিক্রন থেকে বিশ্বে আসতে পারে করোনার নতুন ঢেউ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৫৯ পিএম

ওমিক্রন থেকে বিশ্বে আসতে পারে করোনার নতুন ঢেউ

প্রতীকি ছবি

ওমিক্রন থেকে বিশ্বে আসতে পারে করোনার নতুন ঢেউ

প্রতীকি ছবি

ওমিক্রন থেকে বিশ্বে আসতে পারে করোনার নতুন ঢেউ

আফ্রিকা মহাদেশের মানচিত্র

ওমিক্রন থেকে বিশ্বে আসতে পারে করোনার নতুন ঢেউ

প্রতীকি ছবি

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর বাড়ছে নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর বিধিনিষেধ। এমনই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় পরিচালক ড. তাকোশি কাসাই বার্তা দিয়েছেন, এর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। আর সে কারণে মহামারি মোকাবিলায় সব দেশকে প্রস্তুত হতে হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই করোনার শক্তিশালী ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যে খবর আসছে, বাস্তবতা তার বিপরীত। খবর বিবিসি বাংলার।

ড. কাসাই মনে করেন, ওমিক্রনের মাধ্যমে করোনার নতুন ঢেউ আসতে পারে। সে জন্য সব দেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, এর আগে পূর্বের ধরন ডেল্টা মোকাবিলায় আমরা যেসব শিক্ষা অর্জন করেছি, নতুন এ ধরন মোকাবিলায় সেটিই কাজে লাগাতে হবে।

[caption id="attachment_321990" align="aligncenter" width="700"] প্রতীকি ছবি[/caption]

ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, কোনো দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ওমিক্রন ঠেকানো সম্ভব নয়। দেরিতে হলেও এ ধরন সব দেশকেই স্পর্শ করবে।

সংস্থাটির আপৎকালীন বিভাগীয় পরিচালক ড. বাবাতুন্ডে ওলউকুরে বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেকগুলো গবেষণা সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা নতুন দিক-নির্দেশনার প্রয়োজন আছে এমন কোনো তথ্য পাননি।

গত সপ্তাহে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার এ ধরন আগের ধরনগুলোর তুলনায় দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে বিটা, অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গামা, নভেম্বরে ব্রাজিলে আলফা ও ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ডেলটা নামে করোনার চারটি ধরন শনাক্ত হয়।

[caption id="attachment_321991" align="aligncenter" width="700"] আফ্রিকা মহাদেশের মানচিত্র[/caption]

দক্ষিণ আফ্রিকায় নজিরবিহীন সংক্রমণ

গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ২৫টি দেশে ধরনটি ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক সচেতনতায় কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানে ওমিক্রনের প্রভাবে করোনার প্রকোপ প্রচণ্ড রকম বেড়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারির এ চতুর্থ ঢেউ আগের তুলনায় মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সংক্রমণ বাড়ছে নজিরবিহীন। তবে অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রন বেশি প্রাণঘাতী এমন প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা জন দেশটির জনসাধারণকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার অন্য ঢেউগুলোর তুলনায় সেখানে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণ কী সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।

অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারাও কাজ করছে।

[caption id="attachment_321992" align="aligncenter" width="700"] প্রতীকি ছবি[/caption]

ওমিক্রনের নতুন উপসর্গ

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করছেন। এর মধ্যে কোনো কোনো বিজ্ঞানী দাবি করছেন, ডেল্টা ধরনের সঙ্গে ওমিক্রনের উপসর্গের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

ওমিক্রন হলে ব্যথার কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে স্বাদ ও গন্ধহীনতার উপসর্গ এতে দেখা যাচ্ছে না। তবে বিজ্ঞানী এখনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত মতামত দিতে চাইছেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনার অন্য ধরনগুলোর উপসর্গের চেয়ে ওমিক্রন খুব একটা আলাদা নয়। এর সপক্ষে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ বিজ্ঞানীরা এখনও পাননি। ফলে নতুন করে কাশি, জ্বর এবং স্বাদ ও গন্ধহীনতাকেই করোনা আক্রান্তের তিনটি উপসর্গ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App