করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) থেকে পুনরায় চালু হবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ।

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার কমে আসায় কাল বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকে। করোনাকালীন দেশের সব ট্রেন বন্ধ হলে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগর এ ট্রেনটি সরকার বন্ধ করে দেয়। তবে বেশ কিছুদিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও চালু হয়নি বেনাপোল এক্সপ্রেস। ফলে কষ্ট এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভারতে যাতায়াতকারী অসুস্থ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাল বৃহস্পতিবার থেকে আবারও চালু হচ্ছে বেনাপোল এক্সপ্রেস। দেরিতে হলেও ট্রেনটি চালু হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন তিনি।

রাজীব নামের এক যাত্রী আজ কমলাপুরে বেনাপোল এক্সপ্রেসের টিকেট কাটতে এসে জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তিনি বেশ অসুবিধায় পড়েন। তাকে যশোর নেমে বেনাপোল যেতে হচ্ছিল। এখন সরাসরি বেনাপোল যাওয়া যাবে।

জানা যায়, বেনাপোল থেকে ঢাকায় যেতে পরিবহনে সময় লাগে ১২-১৪ ঘণ্টা। সড়কে যানজট বা আবহাওয়া খারাপ হলে অনেক সময় দ্বিগুন সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে ট্রেনে নির্বিঘ্নে মাত্র সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যায়। সপ্তাহে একদিন বুধবার বিরতি দিয়ে প্রতিদিন দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে যায় ঢাকাতে এবং রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসে বেনাপোল একপ্রেস। বেনাপোল থেকে ঢাকা যাত্রী প্রতি এসিতে ভাড়া ১ হাজার ১১৬ টাকা, নন এসিতে ৪৮৫। ঢাকা থেকে এসি শ্লিপার ভাড়া ১ হাজার ৭৮১ টাকা, নন এসিতে ৪৮৫ টাকা।