×

জাতীয়

নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেবার দাবি সুজনের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৫৫ পিএম

নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেবার দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। বুধবার (১ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সুজন কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ-এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সুজন-এর নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক সিকান্দর খান ও অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুজন জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দিলীপ কুমার সরকার বলেন, সুজন দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। সুজন-এর পক্ষ থেকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২১' শিরোনামে একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ২০২১-এ আইনের খসড়াটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের গুরুত্বের বিষয়ে একমত পোষণ করলেও, এবারের নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আগে তা প্রণয়নের যথেষ্ট সময় নেই বলে আইনমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।

গত ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে আইনমন্ত্রী এবারের নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন করা সম্ভব হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনটি প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছে সুজন।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন খুবই জরুরি। আগামী অধিবেশনেই আইনটি পাস করা যেন সম্ভব হয় সেটা সরকার বিবেচনা করবেন আশা করি।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছে। কিন্তু আইন প্রণয়ন না করে আবার পুরনো প্রক্রিয়ায় কমিশন গঠন করলে আমাদের ভোটের অধিকারের পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, প্রচণ্ড হতাশা নিয়ে কথা বলছি, প্রত্যাশা ছিল সরকার স্বচ্ছ প্রক্তিয়ায় একটি গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনে উদ্যোগী হবে। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একটি আইন পাস করবে। কিন্তু এটি স্পষ্ট যে সরকার আইন করতে চায় না। আজ্ঞবহ সার্চ কমিটি দিয়ে আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।

দেশের নাগরিকদের ভোট প্রদানের অধিকার আছে, গত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সরকার আমাদের ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকার ও আইনমন্ত্রী বক্তব্য ও আচার-আচরণে স্পষ্ট করে এটাও বলে দিচ্ছেন যে, পরবর্তী নির্বাচনেও আমরা ভোট দিতে পারব না। কারণ এবারেও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন হবে। এখনও আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো আইনটা করে আস্থাভাজন নির্বাচন কমিশন করার জন্য।

রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যখন ব্যর্থ হয় তখন রাষ্ট্রটি ব্যর্থ হয়। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। এটিকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। কমিশন আইন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

একরাম হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থা অন্যতম প্রধান বিষয়। আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের জন্য আইন প্রণয়নের কথা বলা হলেও গত পঞ্চাশ বছর ধরে তারা আইন মানছেন না, সংবিধান মানছেন না। সরাসরি তারা আইনকে পদদলিত করছেন।

অধ্যাপক সিকান্দর খান বলেন, গোটা দেশের একটা খারাপ ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। দেশটি সবার, আমরা চাইব সরকার তাদের ক্ষমতায় থাকাকে বড় করে না দেখে রাষ্ট্র যেন টিকে থাকে সেদিকে মনোযোগ দিবে। তাতেই দেশের ভবিষ্যৎ নিষ্কন্টক হবে।

আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, আশা করি, আইনটি তাড়াতাড়ি পাস করা হবে। এতে সরকারেরও ভাবমূর্তি অনেক উন্নতি হবে, মানুষের মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব কেটে যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App