×

জাতীয়

মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় আগামী দেড় মাস গ্যাস ঘাটতির আশঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০৬:২৯ পিএম

আগামী দেড় মাস সারাদেশে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সামিট এলএনজি টার্মিনালের একটি মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় জাহাজ থেকে জাহাজে এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে না। এর ফলে এলএনজি সরবরাহ করাও সম্ভব হবে না। এ কারনেই গ্যাসের ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।

জানা গেছে, মুরিং হলো এমন একটি স্থায়ী কাঠামো, যেখানে কোনো জাহাজ বাঁধা অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে। এই মুরিং লাইন ছিঁড়ে গেলে জাহাজ থেকে জাহাজে গ্যাস সরবরাহ করতে সমস্যা হয়। সরবরাহকারী জাহাজের এই মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় এখন এলএনজি পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির আগে এই মুরিং লাইন মেরামত করা সম্ভব হবে না। মুরিং লাইন মেরামত করা না হওয়া পর্যন্ত এলএনজি পরিবহন ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এই কারনে ওই সময় পর্যন্ত সারাদেশে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, এলএনজি থেকে প্রতিদিন ৫৬০ থেকে ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, এখন দেশে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এরমধ্যে ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা গ্যাস সরবরাহ করা হয়। আর বাকিটা দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App