ওমিক্রন উপসর্গ নিয়ে দ. আফ্রিকার চিকিৎসকের মতামত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০৬:১৬ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশের বসবাস গাওতেং প্রদেশে। এখানকার একজন চিকিৎসক ডা. উনবেন পিল্লায়। সোমবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করেন তিনি। তিনি জানান, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগেরই উপসর্গ মৃদু।
সম্প্রতি আফ্রিকায় শনাক্ত হয় করোনার নতুন ধরন বি.১.১.৫২৯। এর নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ধারণা করা হচ্ছে, ডেলটাসহ করোনার আগের সব ধরনের চেয়ে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, নতুন এ ধরন বিশ্বের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে ওমিক্রন ধরন কতটা সংক্রামক কিংবা কতটা মারাত্মক, তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে গবেষণা চলছে।
করোনার নতুন এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেন উনবেন পিল্লায়। তিনি জানান, তার কর্মস্থল গাওতেং প্রদেশে। গত ১০ দিনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখেছেন তিনি।
তবে উনবেন পিল্লায় জানান, এখন পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা গেছে, তা খুব মৃদু। জ্বর জ্বর অনুভূতি, শুকনা কাশি, জ্বর, রাতে ঘাম ও গায়ে প্রচণ্ড ব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে। তিনি মনে করেন, বেশির ভাগ রোগীর চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের টিকা নেওয়া আছে, তাদের অবস্থা টিকা না নেওয়া মানুষদের তুলনায় ভালো থাকতে দেখা যাচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগের বয়স ২০ ও ৩০-এর কোটায়। এ বয়সী মানুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় কোভিড উপসর্গ মৃদু হয় বলে দাবি করে থাকেন চিকিৎসকেরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য চিকিৎসকেরাও ওমিক্রনের ধরন নিয়ে একই ধরনের আভাস দিচ্ছেন। কর্ণাটক রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সুধাকর এমন তথ্য জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুধাকর পেশায় চিকিৎসক।
তিনি জানান, ওমিক্রন ধরনের ব্যাপারে জানতে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা সাবেক সহপাঠীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি। তারা (সহপাঠীরা) জানান, ওমিক্রন ধরন খুব দ্রুত ছড়ালেও তা ডেলটার মতো অতটা ভয়ংকর নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বমি বমি ভাব বা বমি হয়, কখনো স্পন্দনের হার বেড়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে স্বাদ ও গন্ধ চলে যায় না। খুব মারাত্মক না হওয়ায় এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব একটা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় না।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজিও জানান, ওমিক্রন সংক্রমিত ব্যক্তিদের উপসর্গ মৃদু এবং ঘরে থেকেই এর চিকিৎসা সম্ভব। দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরুর দিকে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছিলেন এ কোয়েটজিই।