×

জাতীয়

নিরাপদ সড়কের দাবিতে নটরডেম শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:২১ পিএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে নটরডেম শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে নটরডেম শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরে নাঈম হত্যার বিচার চেয়ে সড়কে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভোরের কাগজ

নিরাপদ সড়কের দাবিতে নটরডেম শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

শিক্ষার্থী নাঈমের মৃত্যুর বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। ছবি: ভোরের কাগজ

নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) নটরডেম কলেজের সামনে থেকে মিছিলটি শাপলা চত্বরে পৌঁছায়। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় দুই পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’ ও ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’।

দাবিগুলো হলো, সবার জন্য সড়ক নিরাপদ করা, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পর পাস হওয়া আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া, নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করা, নাঈমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, গুলিস্তানের মতো ব্যস্ততম সড়কে পদচারী-সেতু স্থাপন করা ও সব ধরনের ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় রাজধানীর গুলিস্তানে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টায় কলেজের সামনে, মতিঝিল শাপলা চত্বর ও গুলিস্তান এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা নাঈমের মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে চালকের ফাঁসি দাবি করে। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড।

ঘটনার পরপরই ওই গাড়ির চালক রাসেলকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পল্টন থানা পুলিশ। গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। তবে জানা যায় গাড়িটির মূল চালক তিনি না, তিনি মূলত সুইপার। এ ধরনের ভারী গাড়ি চালানোর তেমন অভিজ্ঞতাও তার নেই।

নিহত নাঈম নটরডেম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। গতকাল সকালে সে বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গুলিস্তান হল মার্কেট মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়িটি তাকে চাপা দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সোয়া ১২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাঈম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাজিরখিল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। তার বাবার নীলক্ষেতে বইয়ের ব্যবসা রয়েছে। কামরাঙ্গীর চর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকত সে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট।

জানা যায়, রাসেল ডিএসসিসির নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো চালক না। তিন বছর আগে রাসেল যখন ডিএসসিসিতে ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App