×

জাতীয়

দেশে এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য অকল্পনীয় পর্যায়ে : রুমিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০৫:২৭ পিএম

দেশে এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য অকল্পনীয় পর্যায়ে : রুমিন

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ফাইল ছবি

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেছেন, দেশে গত এক যুগে চালু হয়েছে ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’, যাকে আমি মনে করি ‘উন্নয়নের বিষে লাল বাংলাদেশ’।

রুমিন ফারহানা বলেন, মার্কিন সংস্থা মিলোনিয়ান চ্যালেঞ্জ করপোরেশন দারিদ্র্যের অবসান ও সুশাসন নিশ্চিতের চেষ্টা করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন অঙ্কে অনুদান দেয়। বাংলাদেশও এ ফান্ড পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের ১৬টি ক্ষেত্রে রেড জোনে আছে বাংলাদেশ। আগের বছরগুলোতে ছিল আরও কম। এখন পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন গণতন্ত্রকে মূলমন্ত্র ধরে যে দেশের জন্ম হয়েছিল সেই দেশে গত এক যুগে চালু হয়েছে ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’। একে ‘সীমিত গণতন্ত্র’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

রুমিন বলেন, বেশি উন্নয়ন কম গণতন্ত্র। ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র’ নামক উদ্ভুত সব স্লোগান। ঠিক যেমন আইয়ুবের বুনিয়াদি গণতন্ত্র। সামরিক স্বৈরশাসক তার ক্ষমতায় থাকার বয়ান হিসাবে উন্নয়নকে বেছে নিয়েছিল। বর্তমান সরকারও একদমই তাই।

তিনি আরও বলেন, আজকেও ভাবতে অবাক লাগে ইয়াহিয়ার মতো একজন সামরিক শাসকের অধীনেও ১৯৭০ এ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন?’ যেখানে বঞ্চিত, শোষিত পূর্ব পাকিস্তানের কোন দল ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

সংসদে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন, ভোটাধিকার প্রয়োগ, নিজের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন বিনা প্রতিবাদে সেই জয়রায়কে মেনে নেওয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা না হলে একটা দেশ ভেঙে নতুন আরেকটা দেশের জন্ম হতে পারে। দেশে এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য অকল্পনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য হিসাব করলে আজকের শ্লোগান হবে সোনার বাংলা নরক কেন? স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পড়লে পরিষ্কার হয় যে, ৭০ এর নির্বাচন মেনে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে তখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। নির্বাচনে বিজয়ের পরেও ক্ষমতা হস্তান্তরকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সব নাগরিকদের জন্য আইনের শাসনের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। আজ দেশে সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মী, কিছু ব্যবসায়ী, কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মানুষের সঙ্গে বাকি ৯০ শতাংশ মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App