×

জাতীয়

আদালতে ঝর্ণাকে হিজাব না খোলার নির্দেশ মামুনুলের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:১৯ পিএম

সোনারগাঁ থানায় করা চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে সাক্ষ্য দেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহীন উদ্দিনের আদালতে এ সাক্ষ্য দেন তিনি।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ঘটে নাটকীয় ঘটনা। আদালত ঝর্ণাকে হিজাব খুলতে বললে মামুনুল হক উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘শরিয়তের হুকুম, হিজাব খুলবে না ঝর্ণা।’

তবে ঝর্ণা একবার হিজাব খুলে বিচারককে মুখ দেখিয়ে আবার হিজাবে মুখ ঢেকে নেন।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহর যুক্তি, বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা মেডিক্যাল টেস্টে বলেছেন তিনি মামুনুল হকের কালেমা পড়া স্ত্রী। মামুনুল হকের সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। তাদের অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় তিনি কোথাও মামলা কিংবা জিডি করেননি। কারও কাছে মুখ খোলেননি।

তবে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদের যুক্তি, সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেছেন। তারপরেও বারবার প্রমাণের চেষ্টা করেছেন জান্নাত আর ঝর্ণা তার (মামুনুল হক) স্ত্রী। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

এদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। সে সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এর কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা করেন। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।

গত ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভনে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন ওই নারী। তবে মামুনুল হক তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App