×

অর্থনীতি

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৮:৩৪ এএম

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

প্রতীকি ছবি

চলাচলে বিধিনিষেধ, ব্যাংকে গিয়ে সময়মতো টাকা না পাওয়া- করোনা মহামারির সময় এমন দুশ্চিন্তা থেকে অনেকেই হাতে নগদ টাকা ধরে রাখতে শুরু করেন। তবে সম্প্রতি এ প্রবণতা কমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত আগস্টে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ টাকা কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। আমানত বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় চাঙ্গা হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের কর্মকাণ্ডে। শেয়ারবাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। প্রাণ ফিরেছে পর্যটন কেন্দ্রে। খরা কাটতে শুরু করেছে বিনিয়োগে।

বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা বাড়াচ্ছে রপ্তানি আয়। উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হচ্ছে আমদানিতে। ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ায় সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়তে শুরু করেছে। এতে ইতিবাচক হতে থাকা সূচকগুলো থেকে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত মিলছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সম্ভাবনা বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা শূন্যপদে শুরু হয়েছে নিয়োগ। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে যাওয়ার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদোক্তারাও।

দেশে করোনা শনাক্তের হার গতকাল শুক্রবার ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ পরিসংখ্যানই বলছে, কমেছে করোনার প্রকোপ। চলতি বছরের ১১ আগস্ট সব কিছু চালু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙ্গা হতে শুরু করে। দোকানপাট, শপিংমল, অফিস-আদালত, ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, শিল্প-কারখানা ও সড়ক, নৌ, রেল, আকাশপথের পরিবহনসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। শুধু তাই নয়, মানুষের মনের এই স্বস্তি সামষ্টিক অর্থনীতিতেও এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সরকারের প্রণোদনা ঘোষণা ছিল সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সরকার প্রদত্ত প্রণোদনার অর্থ ও নীতি সহায়তা এবং লকডাউন উঠে যাওয়ায় দেশের সার্বিক অর্থনীতি দেড় বছর পর আবার ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিপুলসংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তাই সেসব দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য করোনার আগের মতো ক্রয় আদেশ দিচ্ছে। তা ছাড়া মিয়ানমারে সেনাশাসন ও ভারতে করোনার ভয়াবহতার কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তর করা হচ্ছে। বড়দিন কেন্দ্র করেও প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। তার আগেই চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করেন ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ভোরের কাগজকে বলেন, এটা নিশ্চিত বলা যায়, কোভিডের অচলাবস্থা ভেঙে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বস্তিকর গতি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমরা পোস্ট কোভিড রিকভারি ফেইজে আছি। উৎপাদন পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে না গেলেও কাছাকাছি পর্যায়ে গেছে। এটা একটা ইতিবাচক পর্যায়ে আছে। আগামী বছরের প্রথম ৩/৪ মাসের মধ্যে হয়তো আমরা কোভিডের বিরূপ প্রভাব থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারব।

রেকর্ড আমদানি, আসছে মূলধনী যন্ত্রপাতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আমদানি ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আমদানিতে ১ হাজার ২৬৭ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শুধু পোশাক খাতের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। অর্থমূল্যের হিসাবে এ সময়ে ৪৮৪ কোটি ডলার সমমূল্যের কাঁচামাল আমদানি হয়েছে, যা গতবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ২৮৭ কোটি ডলার।

এছাড়া শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মূলধনি পণ্য আমদানিতেও হয়েছে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এ তিন মাসে ৩৬৯ কোটি ডলার সমমূল্যের মূলধনী পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৬৩ কোটি ডলার। শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল- ইপিজেডগুলোর জন্য বিশেষভাবে আমদানি হয়েছে ১১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য, গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এসেছিল মাত্র ৬৯ কোটি ৪০ লাখ।

রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক রপ্তানিতেও অর্থবছরের প্রথম চার মাসে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পণ্য রপ্তানির পর অক্টোবরেও তা আরো বেড়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকায় ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে রপ্তানি খাত। ইপিবির তথ্য বলছে, অক্টোবরে ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের অক্টোবরে আয় এসেছিল ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরেও একক মাসে রেকর্ড পরিমাণ ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

গতি ফিরেছে রাজস্ব আয়ে

করোনার কারণে ২০২১ অর্থবছরের বড় একটা সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত ছিল। তারপরও আগের বছরের তুলনায় এ খাত থেকে সরকারের আয় বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ প্রদান, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ঋণের হিসাব, আমদানি-রপ্তানিসহ ব্যাংকের সব ধরনের সার্ভিস চার্জ থেকে সরকার ১৫ শতাংশ ভ্যাট পায়। এছাড়া ব্যাংকের কেনাকাটায়ও দিতে হয় উৎসে ভ্যাট। এনবিআরের তথ্য বলছে, ২০২১ অর্থবছরে ব্যাংকের এসব চার্জের ওপর ২ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ভ্যাট পেয়েছে সরকার। আগের বছর এ খাতে আদায়কৃত ভ্যাট ছিল ১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। করোনা চলাকালে ভালো ব্যবসা করেছে ওষুধশিল্প। গত বছর করোনার লকডাউনের মধ্যেও সচল ছিল আবাসনসহ নির্মাণ খাত। এ খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কনস্ট্রাকশন ফার্মগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ খাতের অনুষঙ্গ রড, সিমেন্ট ও সিরামিকস থেকেও রাজস্ব ১০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে। এনবিআরের তথ্যানুসারে, গত বছর স্টিল ও রডশিল্প থেকে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ২৭ শতাংশ, সিমেন্ট খাত থেকে ১১ শতাংশ ও সিরামিকস থেকে ৩৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

বিনিয়োগের খরা কাটছে

করোনায় দেশে বিনিয়োগের যে খরা তৈরি হয়েছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। ব্যাংক ব্যবস্থায় ঋণের জন্য আবেদন বাড়ছে। বেড়েছে বিতরণও। ফলে ব্যাংকে যে অতিরিক্ত তারল্য জমে ছিল, তা ছোট হতে শুরু করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে মার্চ পর্যন্ত বিতরণ ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে এর প্রায় দ্বিগুণ। ঋণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে উদ্বৃত্ত আমানত। কেবল জুলাইয়ে উদ্বৃত্ত আমানত কমেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি। জুনে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তারও আগে মে মাসে তা ছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে ৩৩৮ কোটি ডলারের বা ২৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। গত আগস্টে ২৯৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের জন্য ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছর রপ্তানি হয় ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য।

বাড়ছে কর্মসংস্থান, নতুন নিয়োগ শুরু

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙা হওয়ায় কর্মসংস্থানের বন্ধ দুয়ারও খুলছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। অধিকাংশ কারখানায়ই নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে থেমে থাকা সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ খাতে নতুন দক্ষ কর্মীরও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ বড় কারখানায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের চাহিদা তৈরি হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে। শুধু তৈরি পোশাকে ২৫ লাখ শ্রমিক হিসাব করলেও এ খাতে নতুন করে আরো তিন লাখের বেশি মানুষের কর্মস্থল তৈরি হয়েছে, যদিও এর সুশৃঙ্খল কোনো তথ্য নেই। সম্প্রতি মিয়ানমার, চীন ও ভিয়েতনাম থেকে পোশাকের কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়ে এসেছে বলে খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। দীর্ঘদিন পর ইউরোপ-আমেরিকায় অফিস চালু হওয়ায় নিট পোশাকের পাশাপাশি উভেন পণ্যের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে।

এগিয়ে চলছে ৭ ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের কাজ

বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া ৭টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে পুরোদমে। প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন বলছে, এর মধ্যে ৩টির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পগুলো শেষ করতে চাচ্ছে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু, পায়রা বন্দর এবং মেট্রোরেল পরিষেবা (এমআরটি-৬)- এ ৩টি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা রেল সংযোগ এবং ঢাকা-কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইন। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। এটির সম্ভাব্য ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং নির্মাণকাজ ২০১৪ সালের নভেম্বরে শুরু হয়। বহুল প্রতীক্ষিত সেতুটি আগামী বছরের জুন নাগাদ সবার চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণ ও নদী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে একাধিকবার।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প এমআরটি-৬ এর জন্য ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প ৭২ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে আইএমইডি তার মনিটরিং জোরদার করতে চায়। প্রকল্পটির উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। পায়রা সমুদ্র বন্দরের আর্থিক অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং এর ভৌত অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রকল্পের মনিটরিং বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আইএমইডি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন এবং অগ্রগতি পরিদর্শন করেছে। অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ছিল ৩৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে ভৌত অগ্রগতি ছিল ৩৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অক্টোবরে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে শারীরিক অগ্রগতি ছিল ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ঢাকা-কক্সবাজার-দোহাজারী রেললাইন প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি অক্টোবর পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ছিল ৩৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় এর ব্যয় ও মেয়াদ বাড়বে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App