×

প্রবাস

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ওয়াশিংটনে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৮ এএম

বাংলাদেশে সুপরিকল্পিতভাবে একের পর এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিক, মন্দির বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-খুন-লুটপাট ও নির্যাতনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের সামনে সহস্রাধিক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক ভিত্তিক ৩০ টি হিন্দু মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ এর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশ চলাকালেই বাংলাদেশ দুতাবাসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছেও একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।

ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএস’র সমন্বয়ক নন্দকিশোর দাস (নিত্যানন্দ) জানান, তাদের এই সমাবেশে ওয়াশিংটনে অবিস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও নিউজার্সি, কানেটিকাট, পেনসিলভেনিয়া, ম্যরিল্যান্ড,ভার্জিনিয়ায় বসবাসকারি বাংলাদেশী ধর্মীয় সংখ্যালঘু নারী-পুরুষ নাগরিকগন অংশ প্রহণ করে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা এসব হামলা-নির্যাতন-খুন-লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিও দাবি করেন। সমাবেশ থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে দূর্গাপুজার সময় কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন এর বক্তব্যকে অত্যন্ত নির্লজ্জ মিথ্যাচা হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তার পদত্যাগ অথবা তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়।

নন্দকিশোর দাস (নিত্যানন্দ) আরো জানান, ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ’র পক্ষ থেকে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, শিতাংশু গুহ, রূপ কুমার ভৌমিক, প্রিয় লাল কর্মকার, ভজন সরকার, রাম দাস ঘরামী, এন্থনি পিয়াস গোমেজ, প্রদীপ মালাকার ও জীবক বড়ুয়া প্রমুখের নেতৃত্বে একটি ওয়াশিংটনস্থ ভারতীয় দুতাবাসে গিয়ে তাদের মাধ্যমে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও একটি স্মারকলিপি পেশ করেছেন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য এ প্রতিবেদককে জানান, তাদের এই সমাবেশ থেকে দেশ বিভাগের সময় থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদয়কে অব্যাহতভাবে দেশত্যাগে বাধ্য করার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, যে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে ধারন করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা তা থেকে অনেক দুরে সরে গেছে। বাংলাদেশ যদি সেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় যথাযথভাবে পুনস্থাপন ও কার্যকর করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নানা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় চলতে থাকবে বলেও বক্তারা সমাবেশ থেকে আশংকা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যতগুলো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর কোন বিচার না হওয়াতে দিন দিন এই সাম্প্রদায়িক হামলা-খুন-নির্যাতন- নানা কৌশলে দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা ঘটছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

সমাবেশে ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ এর মন্বয়ক নিত্যানন্দ কিশোরদাস ব্রহ্মচারী (নন্দকিশোরদাস), ইসককন জি.বি.সি.-ইউ. এস. এ.-র অনুত্তমদাস, নবেন্দুদত্ত, শিতাংশু গুহ, ডা: প্রভাত দাস, ডা: সমীর সরকার, প্রিয়লাল কর্মকার, রণজিৎ রায়, রূপকুমার ভৌমিক, ভজন সরকার,রামদাস ঘরামী, স্বামী দেবপ্রিয় নন্দগিরী, গোবিন্দ জীবানিয়া, ভবতোষ মিত্র, বিদ্যুৎ সরকার, ডা:নিহার সরকার, প্রদীপ মালাকার,সুশীল সিনহা,শুভরায়, প্রানেশ হালদার, আশিষ ভৌমিক ,সুভাষ সাহা, পিয়াস সেন সুমন, অজিত চন্দ,কুমার বণিক,উমেশ পাল, প্রিয়তোষ দে, এন্থনী গোমেজ, রঞ্জিৎ সাহা, উত্তম সাহা, প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লব শীল, প্রদীপ ঘোষ, জীবক বড়ুয়া, কুমার বণিক, শম্পা বণিক,দেবাশিস সাহা,ঝলক রায়, চম্পা সরকার, হিমান রায়, সবিতাদাস, রবীন্দ্রপাল, প্রদীপ সূত্রধর, নারায়ণ রায়, নিতাই দেবনাথ, দেবাশিষ সাহা, অরুণ বিকাশ পাল, গোপাল সাহা, রতন কুমার দাস, রাম দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App