×

জাতীয়

‘অযথা কাউকে হয়রানি করতে চায়না দুদক’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৩৬ পিএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন, অহেতুক আসামি গ্রেপ্তার নয়। যখনই প্রয়োজন, তখনই গ্রেপ্তার করা হবে।

রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থাটি আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। দুর্নীতি মামলার আসামিদের কেন গ্রেপ্তার করা হয় না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক অযথা কাউকে হয়রানি করতে চায় না। যখনই গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হবে, তখনই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, জনগণের উদ্দেশ্যে একটাই মেসেজ দুর্নীতি করবেন না, দুর্নীতি যারা করে তাদের বর্জন করবেন। তাদেরকে ঘৃণা করেন। দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে খাওয়াবেন না। বাচ্চাদেরকে বলব, তোমরা দুর্নীতিবাজ পিতার সন্তান হয়ে থাকবে কি না চিন্তা করে দেখ। স্ত্রীদের বলব, আপনারা দুর্নীতিবাজ স্বামীর অর্থে চলবেন কি না চিন্তা করে দেখবেন। আর যারা চাকরি করছেন, তাদের বলব আপনারা দুর্নীতিবাজ নিয়োগদাতার চাকরি করবেন কি না ভাবুন। এটাই জনগণের প্রতি আমার আহ্বান। অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক ও দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারসহ দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যাত্রা শুরু হয়। দেখতে দেখতে কেটে গেছে ১৬টি বছর। যুগ পেরিয়ে ১৭তম বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। দুদকের এ যাত্রায় এরই মধ্যে কমিশন গঠন ও পুনর্গঠিত হয়েছে ছয়বার। বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের সমন্বয়ে গঠিত প্রথম কমিশনের যাত্রা। এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান ও ইকবাল মাহমুদের পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ দায়িত্ব নেন বর্তমান দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পেরিয়ে গেছে আট মাস। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ছোট পরিসরে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।

দুদকের বিগত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অভিযোগের হার বেড়েছে অনেক। তবে এখনো জনগণের প্রত্যাশা সেভাবে পূরণ করতে পারেনি। বরং বিভিন্ন সময়ে উল্টো চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সীমিত জনবল নিয়ে দুর্নীতির পাঁচ হাজারের বেশি অনুসন্ধান ও মামলার চাপে রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের পর একই অনুষ্ঠানে দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের নাম ঘোষণা দেয়া হয়। প্রথমবারের মতো র‌্যাক এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে। এতে তিন ক্যাটাগরিতে তিনজনকে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে যুগান্তরের সিরাজুল ইসলাম, টেলিভিশনে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কাওছার সোহেলি ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের নুরুজ্জামান লাবুর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App