×

জাতীয়

দেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে নতুন উদ্যোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ০৬:১৫ পিএম

দেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে নতুন উদ্যোগ

প্রতীকি ছবি

বাংলাদেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় হাওর অঞ্চলে এক হাজার কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এসব শেল্টারে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রও স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। খবর বিবিসি বাংলার।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিবছর বজ্রপাতে ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশিরভাগই হচ্ছে কৃষক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য হাওর অঞ্চলে কংক্রিটের শেল্টার হোম নির্মাণের পাশাপাশি আগাম সতর্কতা দেবার জন্য ৭২৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

আগাম সতর্কতা কেন্দ্র থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ৪০ মিনিট আগে মোবাইলে বার্তা পাঠানো হবে। যাতে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারে। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমানোর জন্য এর আগেও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, এবার হাওর অঞ্চলে প্রতি কিলোমিটারে একটি করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এক কিলোমিটার পর পর শেল্টার নির্মাণ হলে আগাম সতর্কতা পাওয়া মাত্র মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারবে। কারণ, এক কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। সেজন্য ৪০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দেয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র ব্যবহার করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এজন্য যথাযথ ম্যাপিং করতে করতে।

শুধু যেখানে সেখানে শেল্টার নির্মাণ করলেই হবে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম আসাদুল হক। তিনি বলেন, যেসব শেল্টার নির্মাণ করা হবে সেগুলোর ভালো ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে দেখা যাবে এসব শেল্টার উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হাওর অঞ্চলে।

মানুষকে আগাম সতর্কতা দেবার জন্য একটি অ্যাপ বানানো হবে বলে তিনি জানান।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যকরী আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আসাদুল হক। এর মাধ্যমে মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

এ প্রকল্পের জন্য প্রথমে ৩০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর সারসংক্ষেপ শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি অনুমোদন করলে বাস্তবায়ন শুরু হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App