যদি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় তাদের স্বপ্নের চাকরি কী- জবাবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা বলে। কারণ লাখো শিক্ষার্থীর এটা ড্রিম জব। কিন্তু যুক্তরাজ্যের মতো জায়গায় মহাকাশ প্রকৌশলীর মতো সেই স্বপ্নের চাকরি ছেড়ে এক ব্যক্তি পাখি পালন ও পাখি বিক্রি শুরু করেছে।

এই ব্যক্তির নাম আব্দুল সাত্তার হুসেইন। মহাকাশ প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সাত্তার বিভিন্ন রকম পাখি বিক্রি করা শুরু করেছেন। এই যুবক হার্ডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পর লন্ডন সিটি এয়ারপোর্টে প্রকৌশলীর চাকরি নেন। সেখান থেকে তিনি মহাকাশ ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি অফিসে যোগ দেন।

করোনাভাইরাসের শুরুতে লকডাউন চলাকালে তিনি পাখি বিক্রির দিকে মনোনিবেশ করেন। নিজ বাড়ির ছাওনিতেই পাখি পালন করেন তিনি। তার পোষা পাখির মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানি মিঠু (টিয়াপাখি)। তিনি অনলাইনে পাখি বিক্রি শুরু করেন। পাখি বিক্রির কারণে প্রতিবেশীরা তার বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালার কাছে নালিশ দেয়। কারণ সারাক্ষণ পাখির কিচিরমিচির শব্দ হতো। এছাড়া পাখি ক্রেতারা বাড়ির পাশের রাস্তায় ভিড় করত।

তবে কোনো বাধা তাকে দমাতে পারেনি। পাখি পালন ও বিক্রির জন্য ওই বাড়ি ছেড়ে দিয়ে তিনি বড় বাগান আছে এমন নতুন এক বাড়ি নেন। কেবল টাকার জন্য আব্দুল সাত্তার পাখি পালন কিংবা বিক্রি করেন না। পশু-পাখির প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থেকেই তিনি এটা করেন। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে প্রথম যে পাখি তিনি উপহার পেয়েছিলেন সেটা ছিল একটি বাজপাখি।

সাত্তার প্রতি জোড়া পাখি ১৫ থেকে ২০ পাউন্ডে বিক্রি করেন। এ যাবতকালের সবচেয়ে দামি যে পাখি তিনি বিক্রি করেছেন তার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি ১৫ লাখ (১৯ লাখ ডলার)। সেটা ছিল একটি রেসিং কবুতর।