×

জাতীয়

সততা ও নিষ্ঠা না থাকলে রাজনীতি করা যায় না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০১:১৯ পিএম

এমপি একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাব্বর হোসেন অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে কথা-বার্তা বলতেন। তার মধ্যে সততা ও দেশপ্রেম ছিল। যেটা বর্তমান যুগে অত্যন্ত বিরল। সততা ও নিষ্ঠা না থাকলে রাজনীতি করা যায় না। সেটা তার ছিল বলে জনগণের এতটা কাছাকাছি আসতে পেরেছেন, জনগণের ভালবাসা পেয়েছেন।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে টাঙ্গাইলে মির্জাপুরের (৪ আসন) এমপি একাব্বর হোসেনের শোক প্রস্তাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতে তার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে আবারও শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে, কেননা মির্জাপুর থেকে নির্বাচিত চার চারবারের এমপি একাব্বর হোসেনের মৃত্যুর খবর আসে। তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে পার্লামেন্টের একটা সেশনে ২০ জন এমপির মৃত্যু সত্যি খুবই দু:খজনক। বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বড় একটা ক্ষতি হয়ে গেল।

এ সময় তিনি এ ২০ জন পার্লামেন্টারিয়ানের নাম উল্লেখ করেন। তাো হলেন- সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ, মোহম্মদ ইউনুস আলী সরকার, রুমেশা বেগম, মঈন উদ্দীন খান বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, ইসমত আরা সাদেক, মোহম্মদ নাসিম, আবদুল মান্নান, শামছুর রহমান শরীফ, হাবিবুর রহমান, সাহারা খাতুন, মাহম্মুদুর সামাদ চৌধুরী, মোহম্মদ ইসরাফিল আলম, মোহম্মদ আসলামুল হক, আবদুল মতিন খসরু, অধ্যাপক মোহম্মদ আলী আশরাফ, হাসিবুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক এম রশীদ চৌধুরী এবং সর্বশেষ মো. একাব্বর হোসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে একাব্বর হোসেন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর প্রতিবাদ করেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে সে ঝাঁপিয়ে পড়তো। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে যে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে সেখানে তার অবদান রয়েছে। দেশের অবকাঠামো নির্মানে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে আসতে হয়েছে। ৮২’ সালে আমি দেশে আসার পর থেকে আমাদের সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি, বাঁধা দেয়া হয়েছে, সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন ২০০৭ সালে আমাকে বন্দি করা হলো, আমি তো বিরোধী দলীয় নেতা ছিলাম, আমাকে তো বন্দি করার কথা না, অথচ আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমি বন্দি হওয়ার পরে আমাদের দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেসব আন্দোলন সংগ্রাম করেছে একাব্বর সেখানে অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে বিএনপি যে নির্যাতন সংগ্রাম করেছে, মানুষের ওপর, ধর্ষণ নির্য়াতন চালিয়েছিল তা ভুলে যাওয়ার নয়। তারা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর নির্যাতন করেছে। তাদের যে অত্যাচার, নির্যাতন তা থেকে রক্ষা পাননি একাব্বর। তারা ক্রসফায়ার নিয়ে কথা বলেছে, তারাই তো ক্রসফায়ার শুরু করেছিল। আবার এরশাদের আমলে আওয়ামী লীগই ছিল আমাদের টার্গেট।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সততা ছিল বলে আমরা উন্নয়ন করতে পারছি। এখন অনেক উন্নত দেশেও খাদ্যের অভাব। এমনকি লন্ডনের সুপার মার্কেটে খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের ছোট্ট একটা ভূখণ্ডে জনসংখ্যা অনেক বেশি, কিন্তু খাদ্যের অভাব তো হয়নি। আমাদের দেশের শহর থেকে গ্রামাঞ্চলেও খাদ্যের কোন অভাব নেই।

সংসদে এমপি-মন্ত্রীরাও একাব্বর হোসেনের ওপর স্মৃতিচারণ করেন। এমপি বেনজির আহমেদ, আবদুস সোবহান মিয়া, বিরোধী দল জাপার চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ আলোচনা করেন। পরে শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App