তাইগ্রের হাসপাতালে অনাহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। কারণ না দেখিয়ে জাতিসংঘের একাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ইথিওপিয়ার প্রশাসন।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে আছে ইথিওপিয়া। তাইগ্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে লাগাতার লড়াই হয়েছে ইথিওপিয়ার সেনার। তাইগ্রে আগেই দখল করে নিয়েছিল টিপিএলএফ। এখন তারা রাজধানীর কাছে পৌঁছে গেছে। যার জেরে ইথিওপিয়াতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার। খবর ডয়েচে ভেলের।

সম্প্রতি জাতিসংঘ ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা উদ্বেগজনক। বলা হয়েছে, কোনো কারণ না দেখিয়ে হাজারেরও বেশি তাইগ্রের মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৩৫ জন স্থানীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে জাতিসংঘে কাজ করা একাধিক গাড়ির চালককে। কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বলা হয়নি।

ইথিওপিয়ার আইন অনুযায়ী, যতদিন জরুরি অবস্থা থাকবে, ততদিন কারণ না দেখিয়ে সকলকে কারাগারে ভরে রাখা যাবে। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। টিগ্রেতে কার্যত অর্থনৈতিক ব্লকেড তৈরি করা হয়েছে। ফলে অনাহারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ১৫০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে টিগ্রের হাসপাতালে। সকলেরই বয়স পাঁচ বছরের কম। অনাহারে আরো বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে দেড়শর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

টিপিএলএফ এবং ইথিওপিয়ার সরকার এখনো পর্যন্ত আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি। তবে জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলি তাদের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলিও একই অনুরোধ করেছে। গত এক বছরে কয়েক লাখ মানুষ তাইগ্রে ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছেন। যুদ্ধে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে অনাহার এখন তাইগ্রের সবচেয়ে বড় সমস্যা।