ভারতের আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত ও ব্যবসায়ী নিখিল সংসার করেছিলেন এক বছর। ২০১৯ সালে জাঁকজমকভাবে তুরস্কের প্রচলিত আইনে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু আকস্মিকভাবে গত বছরেই নুসরাত সংসার ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। এরপর থেকে এ অভিনেত্রী ও সাংসদ দাবি করেন, তাদের বিয়ে না কি আইন মোতাবেক ছিল না।
শুরু হয় আলোচনা, পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা। সংসারের প্রতি নুসরাতের অনীহার প্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ হন নিখিল। বিয়ে ভাঙার জন্য মামলা করতে থাকেন তিনি। যেহেতু নিবন্ধনের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়নি, তাই অ্যানালমেন্ট জরুরি। অবশেষে ওই মামলার রায় দিয়েছেন আলিপুর সিভিল কোর্ট। বুধবার (১৭ নভেম্বর) নিখিল জৈনের পক্ষে রায় দিয়েছেন এ আদালত। এর মাধ্যমে নুসরাত ও নিখিলের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান হলো।
আদালতের এ রায়ে খুশি হয়েছেন নিখিল। তিনি জানিয়েছেন, আজ বুধবার ছিল তার জন্মদিন। এদিন বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হওয়া তার জন্য সেরা উপহার।
২০১৯ সালে ভালোবেসে তুরস্কের প্রচলিত আইন মোতাবেক বিয়ে করেছিলেন নুসরাত ও নিখিল। তবে গত বছরের শেষদিকে তারা আলাদা হয়ে থাকতে শুরু করেন।
চলতি বছরের আগস্টে নুসরাত জাহান একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম রেখেছেন ঈশান। ইতোমধ্যে তিনি স্বীকার করেছিলেন, তার ছেলের বাবা কলকাতার আরেক অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং তারা একসঙ্গেই বসবাস করছেন। তবে যশকে বিয়ে করেছেন কি না সে ব্যাপারে খোলাসা করে বলেননি নুসরাত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।