×

জাতীয়

মডেল তিন্নি হত্যায় বাবা-চাচার সাক্ষ্যের আবেদনে রায় পেছাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:০৫ পিএম

মডেল তিন্নি হত্যায় বাবা-চাচার সাক্ষ্যের আবেদনে রায় পেছাল

মডেল তিন্নি/ ফাইল ছবি

মডেল তিন্নি হত্যায় বাবা-চাচার সাক্ষ্যের আবেদনে রায় পেছাল

মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম, চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম গণমাধ্যমে কথা বলেন। ছবি: রকি আহমেদ

১৯ বছর আগে মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার আলোচিত মামলার রায় পেছাল। সোমবার (১৫ নভেম্বর) মডেল তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম মামলার সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদনটি শুনানি করা হয়।

এসময় বিচারক বলেন আপনাদের এরআগে বিভিন্ন সময় নোটিশ করা হয় তা পাননি? উত্তরে তারা বলেন না। এসময় বিচারক আবেদনটি গ্রহণ করে রায় পিছিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি সাক্ষাৎ গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি। মামলার শুরু থেকেই তিনি পলাতক আছেন।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর আলোচিত এ হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পুনরায় শুনানি করার জন্য আবেদন করলে বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন। এরপর রায়ের জন্য আজকের দিনটি ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এরপর নিহত তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি মডেল তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে সেই বছরের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

[caption id="attachment_318651" align="aligncenter" width="764"] মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম, চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম গণমাধ্যমে কথা বলেন। ছবি: রকি আহমেদ[/caption]

পরে ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।এরপর মামলার ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, গোলাম ফারুক অভির উত্থান ঘটে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে। ছাত্র হিসেবে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। এসএসসি এবং এইচএসসিতে বোর্ড পর্যায়ে মেধার সাক্ষর রাখেন। নব্বইয়ের গণআন্দোলন ঠেকাতে এরশাদের নজর পান অভি। ওই সময় অপহরণ ও মুক্তিপণ এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন। তবে নব্বইয়ের গণআন্দোলনের চরম পর্যায়ে ডিসেম্বরের প্রথমদিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আর মুক্তি পেয়েই পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এরপর তিনি বিদেশে পাড়ি জমান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App