‘ডব্লিউআইটিএসএ গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বিজিএমইএ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৮:০৩ পিএম
বিজিএমইএ এর পক্ষে পরিচালক রাজীব চৌধুরী এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন। ডব্লিউআইটিএসএ এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ-উল-মুনির বিজিএমইএ’কে এই মর্যাদাপূর্ন অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। ছবি: ভোরের কাগজ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২৫তম ডব্লিউসিআইটি (ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি)-এ ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি এন্ড ওয়ার্কার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ ব্যবহারের জন্য টেকসই প্রবৃদ্ধি/চক্রাকার অর্থনীতি বিভাগে (ক্যাটাগরীতে) ‘ডব্লিউআইটিএসএ গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন (ডব্লিউসিআইটি ২০২১)-এ শনিবার (১৩ নভেম্বর) এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিজিএমইএ এর পক্ষে পরিচালক রাজীব চৌধুরী এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন। ডব্লিউআইটিএসএ এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ-উল-মুনির বিজিএমইএ’কে এই মর্যাদাপূর্ন অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ডব্লিউআইটিএসএ এর চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজী অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (ডব্লিউআইটিএসএ) হলো বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষস্থানীয় স্বীকৃত ভয়েস, যার ৮০টিরও বেশি দেশ ও অর্থনীতির সদস্যরা বিশ্বের আইসিটি বাজারের ৯০% এর অধিক প্রতিনিধিত্ব করে। ডব্লিউআইটিএসএ অ্যাওয়ার্ডগুলো ২০২১ সালে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়।
বিজিএমইএ ২০১৩ সালে পোশাক কর্মীদের জন্য একটি বায়োমেট্রিক ডাটাবেইজ তৈরির উদ্যোগ নেয়। ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি অ্যান্ড ওয়ার্কার ইনফরমেশন ম্যাসেজমেন্ট সিস্টেম (ওয়ার্কার ডাটাবেইস) স্থানীয় এবং ক্লাউড সার্ভার ডাটাবেইজে কর্মসংস্থান এবং পরিচয় সম্পর্কিত তথ্যসহ শ্রমিকদের রেকর্ড সংরক্ষণ করে।
বর্তমানে বিজিএমইএ এর সদস্যভুক্ত ২৫০০ কারখানায় প্রতিদিনই ৪০ লাখেরও অধিক কর্মীর জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহৃত হচ্ছে। টাইগার আইটি বাংলাদেশ এবং সিস্টেক ডিজিটাল লিমিটেড এই বিশেষ সফটওয়্যার সিস্টেমটি ডেভলপ, ইনষ্টল, প্রশিক্ষণ এবং রক্ষনাবেক্ষণে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেছে।
এছাড়া বিজিএমইএ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডিজিটাল রিপোজিটরী অব আরএমজি ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক যৌথ প্রকল্প গ্রহন করে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজে এগিয়ে এসেছে। এই ডিজিটাল তথ্যভান্ডার ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১-এ অবদান রাখার পাশাপাশি শিল্পে হস্তক্ষেপ বিষয়ে ও শ্রমিকদের কল্যানের জন্য নীতি প্রনয়ণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিজিএমইএ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালে তৈরি পোশাক শিল্প বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে সার্বজনীনভাবে প্রাপ্তিযোগ্য, শিল্পের ইন্টারএকটিভ অনলাইন মানচিত্র তৈরিতে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হচ্ছে পোশাক শিল্পের অংশীদারদের কাছে শিল্পের সঠিক, বিশ্বাসযোগ্য ও হালনাগাদ তথ্যাদি এমনভাবে সরবরাহ করা, যাতে করে বাংলাদেশের ন্যায়নিষ্ঠ উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে শিল্পখাতটির সামর্থ্যরে মধ্যে আত্মবিশ্বাসের আরও সঞ্চার ঘটে।