ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ‘জরুরিভাবে প্রয়োজন ছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গত বৃহস্পতিবার বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীর ‘ধর্ষণ’ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এই বিচারক পুলিশকে বলেছিলেন, ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না।
পরে এ পর্যবেক্ষণ নিয়ে সমাজের নানা স্তরে সমালোচনা শুরু হলে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জানান, বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে এজলাসে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরিভাবে প্রয়োজন ছিল। ওই বিচারক রায় দিতে গিয়ে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, তা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। সেজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
রবিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রায়ে কেউ সন্তুষ্ট হয়, কেউ অসন্তষ্ট হয়। যারা অসন্তুষ্ট হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) অনুযায়ী তারা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত হলো আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সাংবিধানিক কিছু বাড়তি ক্ষমতাও আছে, সেগুলো তারা প্রয়োগ করেন। রায় দিলেই যে কোনো বিচারকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নয়। কারণ মেরিটের ওপরে রায় দেওয়ার ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন।’
তিনি বলেন, ‘একজন বিচারক ওপেন কোর্টে রায় দেওয়ার সময় তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণ মামলা যদি কেউ করতে আসে তাহলে সে মামলাটা গ্রহণ না করতে। এটাই হচ্ছে আপত্তির জায়গা। কোনো ফৌজদারি অপরাধে মামলা করার ব্যাপারে তামাদি হয় না। বিচারক যে বক্তব্য দিয়েছেন, সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।