বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে সুতা, রাসায়নিক এবং অন্যান্য কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোশাক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদেরকে দাম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় তিনি বলেন, সামাজিকভাবে ও নৈতিকভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য কেউ কম দামকে সমর্থন করতে পারে না। বিজিএমইএ সভাপতি যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদেরকে তাদের বাংলাদেশী সরবরাহকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আহবান জানান, যাতে করে হাই-এন্ড পণ্য উন্নয়ন ও উৎপাদনে বাংলাদেশী সরবরাহকারীদের সক্ষমতা বাড়ে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান গত শুক্রবার লন্ডনের ইস্ট ইন্ডিয়া ক্লাবে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়কারী ব্রিটিশ ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদেরকে নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন। বৈঠকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর এথিকস এন্ড সাসটেইনিবিলিটি ইন ফ্যাশন এর কো-চেয়ারম্যান, হর্নসি’র ব্যারনেস লোলা ইয়ং উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং শাশা ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈঠকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন এবং নৈতিক উৎপাদনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অনন্য অর্জন সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ডগুলো এবং ব্যারনেস লোলা ইয়ং’কে অবহিত করেন। তিনি আগামী দিনগুলোতে এসব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার বিষয়ে জন্য শিল্পের দৃঢ় প্রত্যয় জোরালোভাবে ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্বে পোশাক সোর্সিংয়ের একটি নিরাপদ, টেকসই এবং প্রতিযোগিতামূলক গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতি ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের পোশাক কর্তৃক নির্ধারিত ভবিষ্যত অগ্রাধিকারগুলোর উপরও আলোকপাত করেন।

ফারুক হাসান তার উপস্থাপনায় বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরন, উদ্ভাবন ও মূল্য সংযোজন এবং প্রযুক্তির আপগ্রেডিং প্রভৃতি ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে শিল্প যে ক্রমেই মনোযোগী হচ্ছে, তা তুলে ধরেন।

ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিষয়ে তুলে ধরা উপস্থাপন বিষয়ে তাদের গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং করা বিষয়ে তাদের অভিপ্রায়ের পুনঃপ্রতিশ্রুতি দেন।