×

জাতীয়

৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেয়ার সুপারিশে ক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২১, ১২:২১ পিএম

চার বছর আট মাস পর এসে বনানীর বহুল আলোচিত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার সব আসামিকে খালাস দিলেন আদালত। তবে সেই রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৭২ ঘন্টার পর কোন ধর্ষণ মামলা না নিতে থানাকে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। রায়ের একটি অংশে বিচারক সুপারিশ করেছেন, ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর কোন অভিযোগ আসলে তা না নিতে। আর এ নিয়েই ক্ষোভ জানিয়েছেন আইনজীবী ও নারীবাদীরা।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ১ অনুযায়ী, যদি কোন পুরুষ বিয়ে এবং সম্মতি ছাড়া ভয় দেখিয়ে কিংবা প্রতারণা করে সম্মতি আদায় করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে তবে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেরও একাধিক রায়ে বলা আছে, কোন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে জানিয়েছে বিচার চাইলে ধরে নিতে হবে তা সত্য। আর তাই ধর্ষণ মামলায় খালাস তো বটেই, ৭২ ঘণ্টার পর মামলা না নেয়ার বিষয়েও চটেছেন এই নারীবাদী আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি সদস্য ফাওজিয়া করিম ফিরোজ জানান, অনুসন্ধান না করে একটা কোর্ট কীভাবে ধর্ষণের মামলায় খালাশ দিতে পারে, এটা হতেই পারে না। একটা নারী যখন তার সম্ভ্রমহানির অভিযোগ করেন তখন এটাকে বিশ্বাস করতে হবে। এটাকে ধরেই এ সংক্রান্ত মামলা চালাতে হবে।

কেউ ধর্ষণের অভিযোগ করলে থানা তা নিতে বাধ্য বলেও জানান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, একটা জায়গায় আমি খুবই মর্মাহত, কিভাবে মাননীয় বিচারক বললেন যে ৭২ ঘণ্টা গেলে পরে সে মামলা পুলিশ না নেয়। ৭২ ঘণ্টা কেন, যদি ভিকটিমকে আটকে রাখে, তাই যখনেই ভিকটিম অভিযোগ করবে তখনেই পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়েও রয়েছে কেউ ধর্ষণের অভিযোগ করলে তা সত্য ধরে এগোতে হবে। কেন না সামাজিকভাবে ছোট হবে যেনেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App