×

খেলা

গতিতে সমানে সমান অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২১, ১১:১৪ পিএম

গতিতে সমানে সমান অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে আউট করে মিচেল স্টার্কের উল্লাস। ছবি : ভোরের কাগজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সমানে সমান গতির ঝড় তুলে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। সেমিতে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। সেমির অন্য ম্যাচটিতে আসরের আরেক ফেভারিট পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের ফাস্ট বোলাররাই গতির ঝলক দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রতিটি ম্যাচে। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি এবং অ্যাডাম মিলনে ফাইনালে হতে পারেন কিউইদের জন্য ট্রাম্পকার্ড। অন্যদিকে কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিং লাইন আপের জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ট্রেন্ট বোল্ট। অজি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শিকার করেছেন মিচেল স্টার্ক। কিউই ফাস্টবোলার টিম সাউদির উইকেট সংখ্যা ৮ এবং অ্যাডাম মিলনের উইকেট সংখ্যা ৩। অজি গতি দানবদের মধ্যে স্টার্কের পর ৮ উইকেট শিকার করেন জশ হ্যাজেলউড এবং ৫ উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দলের ফাইনালে ম্যাচের গতি পথ নিয়ন্ত্রণ করবে এই ছয় ফাস্ট বোলার, তাতে সন্দেহ নেই। তবে অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা এবং কিউই স্পিনার ইশ সোধিও ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন।

ট্রেন্ট বোল্ট

বিশ্বকাপে ট্রেন্ট বোল্ট উইকেট শূন্য থেকেছেন শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে। বাকি সব ম্যাচেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। আসরে পেস বোলারদের মধ্যেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ফাইনালের আগে চলতি বিশ্বকাপে তার ঝুলিতে উইকেট সংখ্যা ১১। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৯ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট তুলে নেন বোল্ট। তবে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আরো দুর্দান্ত ছিল বোল্ট। ওই ম্যাচে ২০ রানের বিনিময়ে তিনি শিকার করেন ৩ ভারতী ব্যাটসম্যানকে। তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন কিউই পেসার। নামিবিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২০ দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। নিজেদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে হারাতে হবে আফগানিস্তানকে, এমন পরিসংখ্যানে সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে মাত্র ১৭ রান দিয়ে আফগানদের ৩ উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খরুচে বোলিং করলেও উইকেট শূন্য থাকেন তিনি। তবে অজি ব্যাটসম্যানদের জন্য ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারেন বোল্ট।

মিচেল স্টার্ক

মিচেল স্টার্ক কিউইদের ফাইনালে আটকাতে অজিদের বড় অস্ত্র। চলতি বিশ্বকাপে তার উইকেট সংখ্যা ৯। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচটি বাদ দিয়ে বাকি সবকটি ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন স্টার্ক। তৃতীয় ম্যাচে ৩৭ রান খরচ করলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেটশূন্য থাকতে হয় তাকে। সুপার টুয়েলভের চতুর্থ ম্যাচে ফের বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন এই অজি ফাস্ট বোলার। সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৩ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। এরপর সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৮ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। কিউইদের জন্য যেমন ট্রেন্ট বোল্ট ট্রাম্পকার্ড, ঠিক তেমনই আবার অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়য়ের মূল অস্ত্র মিচেল স্টার্ক।

টিম সাউদি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে গতি, সুইং এবং অভিজ্ঞতায় সাফল্যের পথ দেখাচ্ছেন টিম সাউদি। চলতি বিশ্বকাপে তার উইকেট সংখ্যা ৮। আসরের সবকটি ম্যাচেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ১ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ২৬ রান খরচায় তার ঝুলিতে উইকেট সংখ্যা ১। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের তৃতীয় ম্যাচে সাউদি ২৪ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ১ উইকেট। নামিবিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৫ দিয়ে তিনি শিকার করেন ২ উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। সেমিফাইনালেও খুব কিপটে বোলিং করে গেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল প্রতি রান দিয়ে শিকার করেছেন ১ উইকেট। চলতি আসরে তার ইকোনমি রেট মাত্র ৫.৭৫। তার বলে রান তোলা অজিদের জন্য কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

জশ হ্যাজেলউড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতি আর সুইংয়ে বিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন জম হ্যাজেলউড। চলতি বিশ্বকাপে তার উইকেট সংখ্যা ৮। সবকটি ম্যাচে উইকেটের দেখা না পেলেও ভালো বল করে গেছেন তিনি। সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন হ্যাজেলউড। পরের দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত বল করেন হ্যাজেলউড। মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ব্যাটসম্যানকে একাই শিকার করেছেন তিনি। সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন হ্যাজেলউড। ৪৯ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেটের দেখা। তবে কিউইদের বিপক্ষে তার রূপ হবে কেমন তা ১৪ তারিখের ম্যাচই বলে দিবে। অ্যাডাম মিলনে অজিদের বিপক্ষে কিউই ফাস্ট বোলারদের মধ্য তৃতীয় অস্ত্র অ্যাডাম মিলনে। আসরে তার উইকেট শিকার মাত্র ৩। ভারত, আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন তিনি।

প্যাট কামিন্স

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের রান সংখ্যা হতে পারত ১৯০ রানের বেশি। কিন্তু প্যাট কামিন্সের ১৯তম ওভারের কিপটে বোলিংয়ে ১৭৬ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকরা। ওই ওভারটিতে ১ উইকেট তুলে নেয়ার পাশাপাশি মাত্র ৩ রান দেন তিনি। বিশ্বকাপের চলতি আসরে তার উইকেট সংখ্যা ৫। পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। অপর দুই উইকেট শিকার করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App