×

জাতীয়

করোনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক চাপ ও সমস্যা অনেকটা বেড়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২১, ০৮:৫০ এএম

করোনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক চাপ ও সমস্যা অনেকটা বেড়েছে

ফাইল ছবি

রোগীর যন্ত্রণা ও মৃত্যু কিংবা রোগীর স্বজনদের অসহায়ত্ব ও আর্তনাদের মুখোমুখি হওয়া চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দৈনিক রুটিন। কিন্তু দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর চিরচেনা এই দৃশ্যপটই তাদের বুকে কাঁপন আর মনোবলে চিড় ধরায়। সরাসরি সংক্রমণের ঝুঁঁকিতে থেকে সেবা দেয়া, সুরক্ষাসামগ্রীর ঘাটতি, সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ঝুঁঁকি আর কখনো কখনো কর্তৃপক্ষের বিরূপ আচরণ স্বাস্থ্যকর্মীদের নতুন এক সংকটের সামনে দাঁড় করায়। শত চেষ্টার পরও রোগীর জন্য অক্সিজেন বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রীর অভাবে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বাড়ায় তীব্র মানসিক চাপ, বার্ন আউট, ঘুমের সমস্যা, উদ্বিগ্নতা, বিষণ্নতাসহ মনোসামাজিক সমস্যা। এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা ও তথ্য না থাকলেও এমনটা যে হবে- তা করোনা সংক্রমণ শুরুর পরপরই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একাধিকবার সতর্কও করেছিল সংস্থাটি।

তথ্য ও গবেষণা যা বলছে: গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ডব্লিউএইচওর এক বুলেটিনে চীন ও সিঙ্গাপুরের পর্যালোচনা তুলে ধরে বলা হয়, মহামারিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের চারজনে একজন হতাশা-উদ্বেগে ভুগছেন। তিনজনের একজন ভুগছেন অনিদ্রায়। করোনাকালে চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এই ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) একটি গবেষণা করে। গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ পরিচালিত এই জরিপে দেখা যায়- জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ২১ শতাংশ চিকিৎসক এবং ৬ শতাংশ সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী উদ্বেগে; ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং প্রায় ৭ শতাংশ সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী বিষণ্নতায় ভুগেছেন। যারা ৬ সপ্তাহের বেশি টানা কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-অনিদ্রার লক্ষণ বেশি ছিল। প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী অনিদ্রায় ভুগেছেন। ঘটনা-পরবর্তী উৎকণ্ঠায় ভুগেছেন প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ চিকিৎসক এবং প্রায় ২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী।

মহামারির মতো পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক অবস্থা নিয়ে এর আগে কখনো জরিপ হয়নি। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালিত ২০১৯ সালের মানসিক স্বাস্থ্য জরিপের সঙ্গে তুলনায় দেখা গেছে, মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি উদ্বেগ-বিষণ্নতায় ভুগেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে উদ্বেগের হার ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিষণ্নতা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

করোনা রোগীদের সেবার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক, নার্স, আয়া, বয়দের নিয়ে দুটি জরিপ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থসাউথ বিষণ্নবিদ্যালয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও তথ্য বিভাগের ৮ হাজার তিনজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, সম্মুখসারীর স্বাস্থ্যকর্মীরা সব সময় মানসিক চাপে থাকেন। এতে বলা হয় ৪১ দশমিক ২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী উদ্বেগ এবং ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী বিষণ্নতার গুরুতর স্তরে ভুগছেন। আবার অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এখন চিকিৎসা পেশা বেছে নেয়ার জন্য দুঃখবোধ করছেন।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৫৪৭ নার্সের মধ্যে হালকা বিষণ্নতা ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ, গুরুতর বিষণ্নতা ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ, উদ্বেগ ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং চাপের প্রবণতা ৬১ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এতে বলা হয়, নার্সদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলোর উচ্চ বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে।

ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা: দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর যখন তরুণ থেকে প্রবীণ- সবাই আতঙ্কে চাকরি ছাড়তে শুরু করেছিলেন। যা দেখে হতাশ হয়েছিলেন প্রখ্যাত কিডনি রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। করোনা মহামারিতে প্রথম সারির এই সম্মুখ যোদ্ধা দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর করোনা ইউনিটে ১২ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক সাত দিন পর আমার অধীনস্থ একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ইস্তফা দেন। কারণ তার বাবা-মা ও স্ত্রী তাকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চাকরি করতে দিতে চাননি। সেখানে অন্যজনকে নিয়োগ দেয়ার পরও সন্দেহ কাটছিল না। পুরো বিভাগ কীভাবে চালাব তাই নিয়ে ভাবনা হচ্ছিল। এছাড়া ক্যাম্পাস কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটির ৪টি ডায়ালিসিস সেন্টারে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য স্টাফের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দুঃশ্চিন্তা হচ্ছিল। চারপাশে বিভীষিকাময় চিত্র দেখে অনেক সময় হতাশ হয়ে পড়তাম।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ৯ হাজার ৪৫৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ৩ হাজার ১২৭ জন। ২ হাজার ২৯০ জন নার্স ও ৪ হাজার ৩৬ জন অনান্য স্টাফ। ১৮৮ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। করোনা অতিমারিতেই প্রথম স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর মানসিক চাপ বেড়েছে এমনটা নয়। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস সংক্রমণের সময়েও স্বাস্থ্যকর্মীরা এ সংকটের সম্মুখীন হয়েছিলেন। ওই সময় বিভিন্ন জার্নালে তা নিয়ে গবেষণাও প্রকাশিত হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, চিকিৎসকদের তুলনায় নার্সদের ওপর অতিমারির প্রভাব বেশি পড়বে। কারণ তারা রোগীদের কাছে বেশি সময় থাকবেন এবং তাদের অভিজ্ঞতাও কম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করতেন সিনিয়র নার্স মাহমুদা। তিনি বলেন, তখন আসলে কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি তা বলে বোঝাতে পারব না। বাসায় বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়ি, দুই শিশুসন্তান ও স্বামী আছেন। তাদের জন্য খুব ভয় হতো। দায়িত্বপালন কালে যে সমস্যাটা হতো সেগুলোর অভিজ্ঞতাও ভিন্ন। পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) পরার পর প্র¯্রাবের বেগ হলেও যেতে পারতাম না। পিরিয়ডের সময়ও প্যাড বদলাতে পারতাম না। কারণ পিপিইতো একবার ব্যবহারযোগ্য ছিল। তাই খোলাও যেত না। পানি খেতাম না। এভাবেই দৈনিক টানা ৮ ঘণ্টা ডিউটি করতে হতো। তলপেটে ব্যথা হতো। ইউরিন ইনফেকশনও হয়েছিল। এ জন্য ওষুধ খেতে হয়েছে। এমন সমস্যা অনেকেরই হয়েছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের টেকনিশিয়ান মো. হারুন বলেন, রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজটি টেকনিশিয়ানরা করছেন। বলা যায়, ঝুঁকি নিয়েই তারা কাজটি করছেন। নিজের জন্য, পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে সব সময়ই দুঃশ্চিন্তা হয়।

প্রণোদনা ঘোষণা: ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস থেকে যারা করোনার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করছেন- সেই সব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও অনান্য কর্মীদের আমি পুরস্কৃত করতে চাই। তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য সরকার তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেবে। এছাড়াও দায়িত্ব পালনের সময় কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার একটি স্বাস্থ্য বিমা থাকবে। কেউ মারা গেলে স্বাস্থ্য বিমার পরিমাণ ৫ গুণ বেশি হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার বাস্তবায়ন খুবই কম। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা দ্রুত সময়ে তাদের পরিবারে কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়।

নাচ ও গানে মনোবল চাঙার প্রয়াস: চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে ঢামেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বৈরী পরিবেশে টানা দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়াতেই মূলত তাদের এই উদ্যোগ। এর আগে ১২ এপ্রিল ভারতের কেরালা রাজ্যে দুজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর নাচের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

কেউ কেউ এই ঘটনার সমালোচনা করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ কমাতে নাচ বা সংগীত যে কার্যকর ভূমিকা রাখে- এ নিয়ে অসংখ্য গবেষণা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা অতিমারির সময়ে করোনা আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি লক্ষণযুক্ত ২১৫ জন রোগীর ওপর ভারতের তামিল নাড়ুতে একটি গবেষণা হয়। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীরা নিজেরা সংগীতচর্চা করে আর নেচে তাদের মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমাতে সক্ষম হয়েছে এবং যা তাদের করোনা থেকে সেরে উঠতেও সাহায্য করেছে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন: বিশিষ্ট মনোরোগ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, করোনাকালে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মানসিক চাপ ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। লকডাউনের সময় দেশের সাধারণ মানুষকে ঘরবন্দি বা বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যত যাই হোক স্বাস্থ্যকর্মীদের পিছ পা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরার কারণে ব্রেনে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এতে স্মৃতিশক্তি এবং ঘুম ও খাবারে সমস্যা দেখা দেয়। মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ফুসফুসে ও ব্রেনে সমস্যা দেখা দেয়। ভয়, কষ্ট আর হতাশা নিয়ে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব নয়। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সর্বোচ্চ ঝুঁকি জেনেও করোনাযুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। এখন কাজের চাপ কম হলেও যারা শুরুর দিকেই মানসিক চাপে ভুগছিলেন সেই চাপের জের এখনো রয়ে গেছে। আগামীতে সংক্রমণ আবারো ভয়াবহ রূপ নেবে কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের প্রস্তুতি রাখা দরকার। স্বাস্থ্যকর্মীদের সেই ভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাউন্সিলিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারণ পরিস্থিতি যাই হোক স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবা দিতেই হবে।

বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল জানান, করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী ৪ থেকে ৫ বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৈরী পরিবেশে তাদের সেবা দিতে হয়েছে। তাদের মানসিক চাপ বাড়লেও সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকেননি।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার যেমন সহযোগিতা প্রয়োজন তেমন সহযোগিতাই করা হচ্ছে। অনেকে সেবাও নিচ্ছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App