×

সারাদেশ

রাজশাহীতে বাস বন্ধে ভোগান্তি চরমে, বাড়তি চাপ ট্রেনে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০০ পিএম

রাজশাহীতে বাস বন্ধে ভোগান্তি চরমে, বাড়তি চাপ ট্রেনে

শুক্রবার রাজশাহীতে পরিবহন মালিকদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ছবি : ভোরের কাগজ

ডিজেল তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজশাহীতে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে তারা এ কর্মবিরতি শুরু করেন। এর ফলে সব বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং চরম ভোগন্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিকল্প হিসেবে ট্রেনে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারা রেলস্টেশনে ভিড় করলেও টিকিট পাননি। বাধ্য হয়ে অনেকে সিএনজিযোগে পাশের জেলায় রওনা দেন। তবে এ সুযোগে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সিএনজিচালকদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী থেকে কোনো রুটে বাস চলাচল না করলেও টার্মিনালে আসতে থাকেন যাত্রীরা। যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেয় সংশ্লিষ্ট বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। অন্যরা কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে পারেননি। যাত্রীরা ট্রেনে গন্তব্যে পৌঁছতে টিকিটের জন্য রেলস্টেশনে গেলে, সেখানেও টিকিট না পেয়ে ঘুরে যান। দূরপাল্লার যাত্রীরা ফিরে যান বাসায়। তবে বিভাগের কয়েক জেলায় সিএনজিতে রওনা দেন অনেক যাত্রী।

এদিন নগরীর ভদ্রা ও তালাইমারী থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সিএনজি। আর রেলগেট থেকে জেলার গোদাগাড়ী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার সুযোগ পান যাত্রীরা। এছাড়া একই পয়েন্ট থেকে নওগাঁগামী যাত্রীরা সিএনজিতে পৌঁছান তাদের গন্তব্যে।

যাত্রীরা জানান, বাস বন্ধের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। ট্রেনেও ছিল না টিকিট। বাধ্য হয়ে সিএনজিযোগে গন্তব্যে যেতে হয়। তবে তিন-চার গুণ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন সিএনজিচালকরা। পরিবহন ধর্মঘটে তাদের দুর্ভোগ হলেও জয়জয়কার অবস্থা তৈরি হয়েছে সিএনজি চালকদের। অবশ্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকারও করেছেন সিএনজিচালকরা।

তারা জানান, অন্যান্য সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। সবসময় তো দূরপাল্লার যাত্রী বহন করা হয় না, বাস বন্ধের ফলে সাময়িক এ সুযোগ তারা পেয়েছেন। বাস চলাচল শুরু হলে আবার নির্ধারিত ভাড়ায় তারা যাত্রী পরিবহন করবেন।

তেলের দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা। এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, তেলের দাম কমানো উচিত। দাম না কমালে আমরা গাড়ি বের করবো না। আর দাম না কমিয়ে সরকারও দীর্ঘদিন নীরব থাকলে, আমরাও ভাড়া বাড়াবো। তারপর শুরু হবে গাড়ি চলাচল।

এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব বলেন, ডিজেলের দাম বাড়লেও বাসের ভাড়া বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা আসেনি। সেজন্য বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। আমাদের প্রথম দাবি তেলের দাম কমানো। ডিজেলের দাম না কমানো হলেও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তারপর সড়কে নামবে যানবাহন। অন্যথায় অব্যাহত থাকবে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।

ট্রেনে বাড়তি চাপের বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করিম জানান, আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা ও রাজশাহী-খুলনা রুটের সব টিকিট শেষ। শুক্রবার অনেকেই স্টেশনে আসেন টিকিটের জন্য, কিন্তু টিকিট আগেই শেষ হয়ে যায়। তবুও কেউ কেউ ট্রেনে উঠেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App