×

জাতীয়

স্ত্রী হত্যা: বাবুল আক্তারের মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩৭ পিএম

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলা নতুন মোড় নিচ্ছে। বাবুল আক্তার বাদী হয়ে করা মামলাটি আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়ায় এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। একই ঘটনায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনেরে করা পৃথক মামলাটিও তদন্তাধীন রয়েছে। আইনজীবীদের মতে, এক ঘটনায় দুই মামলা সাংঘর্ষিক হবে এবং আদালতে খারাপ নজির স্থাপন হবে।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি আদালত চাইলে সিআইডি, র‌্যাব, অ্যান্টি টেরোরিজমকেও তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন।

তিনি বলেন, এক ঘটনায় দুই মামলা ঠিক না। এটা সাংঘর্ষিক হবেই। কেননা একটি বিষয়ের ঘটনা, সময়, প্যালেস অব অকারেন্স সবকিছু একটা জায়গায় নির্ধারিত। এ কারণে এ ঘটনায় দুই মামলা চলা উচিত না।

এ ব্যাপারে মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, বাবুলের মামলা শেষ না হতেই এ মামলা করা হয়েছে। বাবুল যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তার করা মামলায়ই তার বিচার করার সুযোগ আছে। এক ঘটনায় দুই মামলা এটা খারাপ নজির। উচ্চ আদালত থেকেও এটা বিধিনিষেধ আছে। এক ঘটনায় দুই মামলার কারণে অপরাধীরা সুযোগ পেতে পারে। পরবর্তীতে দেখা যাবে এ মামলার রেফারেন্স টেনে অন্য ঘটনায় দায়ের করা মামলায়ও একাধিক মামলা হতে পারে।

মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে আমরা তদন্ত চালাব। মিতু হত্যায় তার বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনই গ্রেফতার আছেন। বাকি দুই আসামি কালু ও মুসাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে মাহমুদা খানম মিতুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় পরদিন স্বামী বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্ত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App