গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সেই অচেনা প্রাণিটি শিয়াল বলে চিহ্নিত করেছেন বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞরা। এই অচেনা প্রাণিটি সনাক্তের জন্য ঢাকা থেকে তিন সদস্যের একটি বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ দল গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান। বিশেষজ্ঞ দলের কর্মকর্তারা হলেন- মো. কামরুদ্দীন রাশেদ, মাহাবুব-ই-খোদা জুয়েল ও গাজী সাইফুল তারিক। তারা মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সেইসব গ্রাম ঘুরে দেখেন, তারা আক্রান্ত লোকজনের বর্ননা শোনেন।

ঢাকা থেকে আসা দলের সঙ্গে কাজ করেন রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পাঁচজন কর্মকর্তারা। তারা হলেন- রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন কর্মকর্তা মো. রাহাত হোসেন, বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার মোহাম্মদ হেলিম রায়হান, জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফস্কাউট সোহেল রানা ও বন প্রহরী লালন উদ্দিন প্রমুখ। দল দুইটিকে সহায়তা করে পরিবেশবাদী সংগঠন তীর।

[caption id="attachment_316503" align="aligncenter" width="700"] লোকজনের বর্ননা শোনছেন বিশেষজ্ঞরা[/caption]

তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো. জিসান মাহমুদ বলেন, ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল গত দুইদিন এলাকার আক্রান্তের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। তারা প্রাণিটির পায়ের ছাপ সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। বিশেষজ্ঞ দলের বিশ্লেষণ মতে এটি কোনো অপরিচিত প্রাণি নয় এবং বিশেষজ্ঞ দল এটিকে শেয়াল হিসাবে চিহ্নিত করে।

বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত হাসান, তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সদস্য আলী আজম, মোনারুল ইসলাম, হরিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।

এলকাবাসী জানান, গত দেড়মাস আগে পলাশবাড়ী উপজেলার ছয়টি গ্রামে অচেনা এই প্রাণির আক্রমণ শুরু হয়। গ্রামগুলো হচ্ছে- তালুক কেঁওয়াবাড়ি, হরিণাথপুর, কিশামত কেঁওয়াবাড়ি, খামার বালুয়া, দুলালেরভিটা ও তালুকজামিরা। এই সময়ে এই প্রাণির আক্রমণে হরিনাথপুর গ্রামের ফেরদৌস সরকার (৫৬) নামের একজনের মৃত্যু এবং অন্তত ১৩ জন আহত হন।