×

পুরনো খবর

ধর্ষণ মামলায় হাসান আল মামুন কারাগারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২১, ০৫:৫৮ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাসান আল মামুন। পরে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদনটি নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরআগে গত ১৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন মোল্লা ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন। এতে হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে মামলাটির বাকি পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

এর আগে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাবির ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে লালবাগ থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে গত বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন হাসান আল মামুন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

একই বছরের ১২ জানুয়ারি আরেক আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বাদী। এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করেন। এরপর মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার কথা বলে ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পৌঁছানোর পর মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর সন্দেহ হয়। ওইদিন বিকেলে ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে ঢাকায় ফেরার জন্য লঞ্চে ওঠেন সোহাগ। লঞ্চের কেবিনে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। গত বছরের ২৯ মে সোহাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি খুলে ওই নারীর ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে গত বছরের ২০ জুন নুরুল হক নুরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী। নুরু তাকে আশ্বস্ত করেন। গত বছরের ২৪ জুন নুর বাদীকে নীলক্ষেতে দেখা করার জন্য ডেকে ‘বাড়াবাড়ি’ করতে নিষেধ করেন এবং কথা না শুনলে হেয়-প্রতিপন্ন করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App